কলিকাতা 8ፃእ» নীর হুগলীর কুঠার এজেণ্ট জব চার্ণক সাহেব ১৬৯০ অব্দের ২৪এ আগষ্ট বর্তমান নগর নিৰ্ম্মাণ করেন । জলযোগ শেষ হইলে সকলে স্ব স্ব পোটল পুটলি হস্তে লইয়া বড়বাজারের অভিমুখে চলিলেন। বরুণ পিতামঙ্গের হস্ত ধরিয়া অতি সাবধানে লইয়া চলিলেন এবং দেবগণকে কহিলেন “তোমরা আমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আইস । নচেৎ ৰদি হারাইয়া যাও, খুজিয়া পাওয়া ভার হইবে।” সকলে বরুণের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চতুর্দিকে চাহিতে চাহিতে চলিলেন। তাহরী যে দিকে চাহেন, দেখেন অট্টালিকা শ্রেণী ও তন্নিম্নে .বিপণি শ্রেণী শোভা পাইতেছে। রাস্ত দিয়া ইংরাজ, বাঙ্গালী, য়িহুদী, মুসলমান; কাফ্রী, মগ, চীনে, কাবুলী প্রভৃতি নানা দেশের লোক চলিতেছে। রাস্তার মধ্য দিয়া চেরেট, টমটম ও বগী গাড়ী প্রভৃতি ছুটিয়া যাইতেছে এবং রাস্তার পাশ্ব দিয়া কঁ্য কোচ, শব্দে গোরুর গাড়ী শ্রেণীবদ্ধ হইয়া চলিয়াছে। পথ দিয়া অনবরত লোক চলিতেছে। • ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এমন সহর ত কখন চক্ষে দেখি নাই । নারা । এখানকার সকল লোককেই যেন বাগ্রতার সহিত রাস্তায় চলিতে দেখিতেছি ইহার কারণ কি ? বরুণ। প্রত্যেক ব্যক্তিই পয়সার অনুসন্ধানে চলিয়াছে । এই কলিকাত৷ সহরে লক্ষ্মী নানারূপে বিরাজ করিতেছেন। যে সুচতুর, সে পথে ঘাটে যেখানে সেখানে ধন উপার্জন করিতে পারে। আর যে আমাদের উপর মত, তাহার ভাগো এখানে অগ্ন মিলে না । ক্রমে সকলে গল্প করিতে করিতে বড়বাজারে ঘাইয়। উপস্থিত হইলেন এবং চারি দিকে চাহিতে লাগিলেন । যে দিকে চাছেন, দেখেন বড় বড়
- দেবতারা যদি এক্ষণে কলিকাতা আসিতেন, তাহ হইলে ইলেক্টিক্ ট্রাম, মোটরকার গাড়ী প্রভৃতি দেখিয়া আরও অtশ্চযাম্বিত হই তেন —সম্পাদক ।