乏や দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। এ নগরকে পুৰ্ব্বে ইন্দ্রপ্রস্থ কহিত । রাজা মধিষ্ঠির এই স্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন। ব্ৰহ্মা। ইন্দ্রপ্রস্থ কোন স্থানকে বলে ? নারা । সে স্থান যমুনা নদীর দক্ষিণ দিকে ছিল। বরুণ। “বর্তমান দিল্লী হইতে ঐ স্থান এক ক্রোশ দূরে। চলুন আপনদিগকে দেখাইয়া আনি,” বলিয়া সকলকে লইয়া তদভিমুখে চলিলেন । ‘ব্রহ্মা। এ ধ্বংসাবশেষ গুহাচি কোথাকার? বরুণ। এই ইন্দ্রপ্রস্থের রাস্তা। রাজা ধৃতরাষ্ট্র পঞ্চপাণ্ডবকে পাণিপত, সোনপত, ইন্দ্রপত, টিলপত, এবং ভাগপত, নামক যে পাচখণ্ড জমী দিয়াছিলেন, তন্মধ্যে টিলপত ও ভাগপত নামক ঐ দেখুন দুই খণ্ড জমী অদ্যপি বর্তমান আছে। অবশিষ্ট তিন থও যমুনা-গর্ভে লীন হইয়াছে। এই স্থানে চতুৰ্দ্ধিকে গড়-বেষ্টিত পুরাতন কেল্লা ছিল । এক্ষণে কেল্লাটী মুসলমানদিগের কৌশলে এত পরিবর্তিত হইয়াছে যে, পূর্বের বলিয়। কিছুমাত্র চিনিবার যো নাই । পিতামহ । ঐ যে হুমায়ুনের মসজিদ দেখিতেছেন, ঐ স্থানে মহাবীর অর্জুনের কেল্লা ছিল । আর ঐ যে সের-শার রাজবাটী দেখিতেছেন, ঐ স্থানে পাণ্ডুপুত্ৰগণ নারায়ণ এবং মহর্ষি ব্যাস প্রভৃতি কর্তৃক পরিবেষ্টিত হইয়া অবস্থিতি করিতেন । আর যে স্থানে রাজসূয় যজ্ঞ উপলক্ষে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ প্রভৃতি দেশের রাজার আসিয়া উপস্থিত হইতেন, তথাকার কোন চিহ্ন নাই; তথায় বর্তমান দিল্লী নগরী নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। যে ঘাটে যুধিষ্ঠির অশ্বমেধ যজ্ঞের হোম করেন, সে ঘাট অদ্যাপি বর্তমান আছে, তাহাকে আগমযোড়ের ঘাট কহে । ব্ৰহ্মা। এস্থানের বর্তমান নাম কি ? সের-শ' বাটী নিৰ্ম্মাণ করায় নামের কি কোন পরিবর্তন হইয়াছে ? বরুণ। আজ্ঞে, যদিচ সের-শ, নাম পরিবর্তন জন্য অনেক চেষ্টা পান এবং নিজ নাম অনুসারে ইহার সিয়ারগড় নাম দেন, কিন্তু অদ্যাপি লোকে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।