8૧ના দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেওয়ানী আদালত নামে যে দুইটী বিচারালয় ছিল, উহার এক্ষণে হাইকোর্টের সহিত মিশিয়া গিয়াছে। উপ। বরুণ-কাক । বিচারালয়গুলোরও তবে দাদার দাদা, বাবার বাবা আছে । দেবগণ বাড়ীটি বেশ করিয়া দেখিলেন। শেষে দেবরাজ কছিলেন, “বকুণ! আমি স্বর্গে গিয়া একটা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করিবার মানস করিয়াছি , অতএব চল, ভিতরে গিয়া দেখিয়া আসি ” - - বরুণ এই কথায় সম্মত হইয়া সকলকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া দেখেন জনতার পরিসীমা নাই ; সিড়ি ভাঙ্গিয়া পালে পালে ইংরাজ, বাঙ্গালী, উকীল, মোক্তার, চাপরাশী, উঠিতেছে ও নামিতেছে। তাহার উপরে উঠিয়া দেখেন, অত্যস্ত জনতা । সেই জনতার মধ্য হইতে বাছিয়া বাছিয়া বরুণ দেবগণকে বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন, “ঐ যে গাত্রে চাপকান, মাথায় শালের পাগড়া, উহাদের নাম উকীল। ঐ যে গাত্রে চাপকান, মাথায় শাদা চাদরের ফেটি, উহাদের নাম মোক্তার ! ঐ যে বাঙ্গালীর সাহেবী পোষাকে গাউন পরিয়া যাইতেছেন, উৰ্ছারা বাঙ্গালীব্যারিষ্টার।” দেবগণ দেখেন—কোন ঘরে স্তুপাকার কাগজপত্র রহিয়াছে, বাঙ্গালীরা বসিয়া লিখিতেছে । কোন ঘরে দুইজন সাহেব বিচারাসনে বসিয়া, বিচার করিতেছেন । বিচারালয়ে লোকের ভিড় ঠেলিয়া প্রবেশ করে, কাহার সাধ্য ! মধ্যে মধ্যে দর্শকগণ গোল করিতেছে, সার্জনেরা. ঘুসাঘাস, দিয়া গোল থামাইতেছে । এখান হইতে র্তাহার এক ঘরে গিয়া দেখেন—বিচারাসনে বসিয়া একজন ইংরাজ ও একজন বাঙ্গালী বিচার করিতেছেন। পিতামহ কহিলেন, “বরুণ, ঐ বষ্ণুলটার নাম কি ? আর সম্মুখে দাড়াইয়া ইংরাজীতে বক্তৃতা করিতেছেন—উনিই বা কে ?” বরুণ। ঐ বিচারকের নাম বাৰু রমেশচন্দ্র মিত্র। আর যিনি ইংরাজীতে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।