8b’e দেবগণের মর্ত্যে আগমন জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁার পিতার নাম কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । ইহার মাতামহ ইহঁাকে হিন্দু কলেজে ভৰ্ত্তি করিয়া দেন। ইনি তথায় একজন উৎকৃষ্ট ছাত্রমধ্যে গণ্য এবং এই স্থানে জুনিয়ার ছাত্রবৃত্তি প্রাপ্ত হন। ১৮৫৮ অব্দে সিনিয়ার ও প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তৎপরে এক বৎসরমাত্র তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে পাঠ করিয়া কোন আফিসে ৩০২ টাকা বেতনে কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম করেন। ঐ কৰ্ম্মকালে বি, এ, পরীক্ষা দেন এবং পরীক্ষায় দ্বিতীয় হন । বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার অল্পকাল পরে ৫০২ টাকা বেতনে ট্রেণিং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইহার তিন বৎসরকাল পরে বি, এল, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া শ্রীরামপুরের প্রতিনিধি মুন্সেফ হন। ১৮৬৫ অব্দে ইনি হাইকোর্টে ওকালতী করিতে আরম্ভ করেন । বাল্যকাল হইতে ইহার কবিতাপাঠে বিলক্ষণ অনুরাগ ছিল। ইনি “প্রভাকর” নামক পত্রে মধ্যে মধ্যে কবিতা লিখিতেন। পাঠাবস্থায় ইনি “চিন্তাতরঙ্গিণী” নামক একখানি ক্ষুদ্র কবিতাপুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন। তৎপরে “কবিতাবলি” নামক একখানি পুস্তক মুদ্রিত করেন। বৃত্রসংহার কাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ইনি প্রচার করিয়াছেন। ইহার রচিত কাব্যগুলি উৎকৃষ্ট ।* দেবগণ অপর এক গৃহের দ্বারে যাইয়া দেখেন—আর ছুটী জজ বসিয়া বিচার করিতেছেন এবং ঐ গৃহে একটা মুকুট রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন *এই ঘরে বসিয়া চিফজষ্টিস অর্থাৎ প্রধান জজ বিচার করিয়া থাকেন। ঐ যে একটি মুকুট দেখিতেছেন, উহা ভারতেশ্বরী মহারাণী ভিক্টোরিয়ার। তিনি অনুপস্থিত থাকাতে তদীয় মুকুট প্রতিনিধিরূপে বিরাজ করিতেছে। এখান হইতে সকলে আর একটা গৃহদ্বারে গিয়া দেখেন—আর দুটা জজ বিচার করিতেছেন। এ গৃহেও লোক পরিপূর্ণ। এখানেও সার্জনের
- ১০১ সালে ইহারও মৃত্যু হইয়াছে। শেষ দশায় দৃষ্টিশক্তি হারাইয়া ও অর্থাভাবে ইহঁাকে অনেক কষ্ট ভোগ করিতে হইয়াছিল —সম্পাদক ।