8tyఇ দেবগণের মর্ত্যে আগমন গৃহে আশ্রয় লন । ১৮৬১ অব্দে উক্ত ঠাকুরের সাহায্যে মিরার নামক একখানি ইংরাজী সাপ্তাহিক পত্র প্রচার করেন। এই সময় ইহার বয়ঃক্রম ১৭ বৎসর মাত্র ছিল। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারক জীযুক্ত বাৰু কেশবচন্দ্র সেন এবং বর্তমান মিরার পত্রের সম্পাদক বাবু নরেন্দ্ৰ নাথ সেন ইহঁাকে ঐ কার্যের নিমিত্ত যথেষ্ট সাহায্য করিতেন। ১৮৬২ অব্দে ইনি পিতার মত লইয়া বিলাত গমন করেন । ১৮৬৫ অদ পর্য্যন্ত তথায় থাকিয়া সিবিল সাৰ্ব্বিস সম্বন্ধে একখানি উৎকৃষ্ট পুস্তক লিখিয়াছিলেন। সিবিল সাৰ্ব্বিস পরীক্ষায় পরীক্ষকের ইহার প্রতি অন্যায় করাতে ইনি দুই বার অকৃতকাৰ্য্য হইয়া গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ১৮৬৬ অব্দে ইনি ব্যারিষ্টার হইবার আজ্ঞা প্রাপ্ত হন। ইহার কিছু পূৰ্ব্বে ইহঁার পিতার মৃত্যু হইয়াছিল। ইংলণ্ডে থাকিয়৷ ইনি দুইবার ইউরোপ ভ্রমণ করেন । ১৮৬৭ অব্দে স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়া হাইকোর্টে ব্যবসা আরম্ভ করেন। বাঙ্গালীর মধ্যে ইনিই প্রথম হাইকোর্টে ব্যারিষ্টার হন। স্ত্রীশিক্ষাদান ও স্ত্র জাতির উন্নতিসাধন বিষয়ে ইহঁার অত্যন্ত অনুরাগ। “অবলাবান্ধব" নামক পত্র বাহির হইলে ঐ পত্রের বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন। ১৮৬৩ অব্দে ইনি বেথুন বিদ্যালয়ের অবৈতনিক সম্পাদক হন। ইনি একজন বিখ্যাত বক্তা। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে "বঙ্গদেশের প্রতিনিধিস্বরূপে ইনি ইংলণ্ডে গমন পূৰ্ব্বক ভারতশাসন সম্বন্ধে অনেকগুলি সারগর্ভ বক্তৃতা করিয়া তত্ৰত্য জন-মণ্ডলীকে মুগ্ধ করেন। বিচার ও শাসন বিভাগের পার্থক্য সাধন বিষয়ে ইনি যথেষ্ট চেষ্টা করিতেছেন। * এখান হইতে দেবগণ একটা গৃহে উপস্থিত হইয়া দেখেন—অনেকগুলি বাঙ্গালী ও ইংরাজ সংবাদপত্র হাতে করিয়া বসিয়া বিশ্রাম করিতেছেন। বরুণ কহিলেন, “এইখানে ব্যারিষ্টারেরা বসিয়া বিশ্রাম করেন। এটর্ণির। ৫০ টাকা দিলে এখানে বসিতে পান ।” ইহার পর সকলে রেজেক্টরি আফিস দেখিতে চলিলেন। যাইবার সময়
- ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে একদিন অকস্মাৎ ইহঁার মৃত্যু হয় —সম্পাদক ।