কলিকাতা 8b~☾ পাল নামক স্থানের কোন সন্ত্রাস্তবংশের মহিলার পাণিগ্রহণ করেন। তাহার গর্ভে দ্বারকানাথের ভুবনমোহিনী ও সুরেন্দ্র নামক একটি কম্ভ ও পুত্র জন্মে। ইনি সঙ্গতির অবস্থায় প্রায় ৫০/৬০ জন আত্মীয় ব্যক্তির পুত্রকে আনিয়া বাসায় স্থান দান করিয়া বিদ্যাশিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করিতেন । ইহঁার উচ্চাভিলাষ ছিল না। স্কুলের বালকগণের সহিত একত্র বসিয়া সামান্তরূপ আহার করিতেন । ইনি নিজ ব্যয়ে জন্মস্থানে একটা মধ্যশ্রেণীর বিদ্যালয় ও চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বাটতে বৎসর বৎসর বিলক্ষণ সমারোহে দুর্গোৎসব করিতেন । এই উপলক্ষে অনেক কুটুম্বকেও স্বভবনে আনিয়া তিন চারি দিন একত্র আমোদ প্রমোদ করিতেন । ১৮৬৬ সালে ইহঁার শরীর অসুস্থ হইলে কিছুদিন মুঙ্গেরে যাইয়া অবস্থিতি করেন। ১৮৬৭ সালের জুন মাসে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের মৃত্যু হইলে জুলাই মাসে দ্বারকানাথ মিত্র হাইকোর্টের জজের আসন প্রাপ্ত হইলেন । তিনি এই সংবাদ মাতাকে বিষগ্নভাবে জানাইলেন, মাত আনন্দ প্রকাশ পূর্বক কহিলেন, “বাবা! এমন মুসমাচার বিমৰ্ষভাবে জানাইলে কেন ?” তছত্তরে দ্বারকানাথ মিত্র কহেন, “মা ! বৰ্ত্তমান পদ বিশেষ গৌরবের বটে ; কিন্তু ওকালতীতে আমার বিলক্ষণ অর্থ উপার্জন হইত।” জজ হইবার কিছুদিন পরে ইনি ভবানীপুরে ৫০,০•• হাজার টাকা মূল্যে একটা বাট ক্রয় করেন । এই বাটতে আগমন করিয়া দ্বারকানাথের ভাৰ্য্য। হৃৎপিণ্ড রোগে ইহলোক পরিত্যাগ করেন । মাতার অনুরোধে তিনি বৎসর অতীত হইবার পূৰ্ব্বেই পুনরায় দারপরিগ্রহ করেন। একটি পুত্রসন্তান হয়। ১৮৭৩ সালে দ্বারকানাথ রাজেন্দ্রনাথ দত্তের পুত্র বাবু উপেন্দ্রনাথ দত্তের সহিত কন্যার বিবাহ দেন। ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে র্তাহার গলদেশে ক্ষত পরিলক্ষিত হইল ; তিন মাস কাৰ্য্য হইতে অবসর লইলেন ; পীড়িতাবস্থায় তাহাকে দেখিবার জন্ত হাইকোর্টের মহামান্ত বিচারপতিগণ প্রায়ই র্তাহার বাটতে আসিতেন। ভারতবর্ষের
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।