পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন من ب8b ভূতপূৰ্ব্ব গবর্ণর লর্ড নর্থব্রুক তাহার এডিকংএর দ্বারকানাথকে আপনার সহানুভূতি জানাইয়াছিলেন। দ্বারকানাথ পূৰ্ব্বে বিজাতীয়-আহারপ্রিয় ছিলেন, কিন্তু ১৮৭৩ সালে উক্ত ংঘাতিক রোগাক্রান্ত হইবার পর তাহার সেই রুচির সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয় ও সেই সময়ে তিনি একদা তাহার কোন বন্ধুর সাক্ষাতে বলেন, “আমাদের দেশে যেরূপ আহারের প্রথা চলিত আছে, তাহাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ও আমাদিগের স্বাস্থ্যের উন্নতিবিধায়ক । এদেশীয় চিকিৎসকগণ ইংরাজী চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়ন করিয়া রোগীর পথ্যাদিবিষয়ে সচরাচর যে সকল প্রথা অবলম্বন করেন, তাহা আমাদিগের পক্ষে অতিশয় অনিষ্টকর।” এই সময়ে সিভিলিয়ান গেডিস সাহেব সস্ত্রীক তাহাকে সৰ্ব্বদা দেখিতে আসিতেন। এক দিন বৈকালে দ্বারকানাথ মিঃ গেডিসকে বলেন, *মানবধৰ্ম্মশাস্ত্রপ্রণেতা মহাত্মা মনুর মতে নৈতিক, মানসিক ও শারিরীক উন্নতি ব্যতীত আত্মপৰ্য্যবেক্ষণ অনুষ্ঠিত হইতে পারে না । * * * আমি যে এতদূর শারীরিক কষ্ট সহ করিতেছি, তাহ কেবল সেই নিয়মাবলী উল্লঙ্ঘনের বিষময় ফল। যদি এ যাত্রা রক্ষা পাই, তাহা হইলে আমি হিন্দুজীবন অবলম্বন করিব।” উল্লিখিত কথাগুলি বলিয়া পণ্ডিতপ্রবর মোক্ষমূলর ভট্টাচাৰ্য্য, ঐতিহাসিক রহস্তপ্রণেতা মহাত্মা রামদাস সেনকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, দ্বারকানাথ তাহার মৰ্ম্মার্থ সাহেবকে বিদিত করেন। উক্ত পত্রের স্থল তাৎপৰ্য্য এই— “ইউরোপে যাহা কিছু ভাল আছে গ্রহণ কর, তাই বলিয়া ইউরোপীয় হইও না ; তোমরা—মমুর বংশধর, রত্নপ্ৰসবিনী ভারতভূমির সস্তান, সত্যানুসন্ধিৎস্থ –সকলেই যে অজ্ঞাত ঈশ্বরের পূজা করে, দ্যায়পরায়ণতা ও সাধুতা সহকারে সকলেই যাহার তুষ্টিসাধনে তৎপর, সেই ঈশ্বরের উপাসক—তোমরা যাহা আছ, তাহাই থাক।”