8> ● দেবগণের মর্ত্যে আগমন বন্ধন ও জাতীয় ভাবের উদ্দীপনা হইবার সম্ভাবনা হইয়াছে। ইনি “বেঙ্গলী” নামক একখানি সাপ্তাহিক গু সংবাদপত্রের সম্পাদকতাভার নিজ হস্তে গ্রহণ করিয়াছেন । ১৮৮৫ সালে ইনি হাইকোর্টের জজ নরিস সাহেবের বিরুদ্ধে এক পত্র লেখায় ইহঁার তিন মাস কারাদও হয়। ইনি দ্যাসন্তাল ফও প্রতিষ্ঠা করিয়া অনেকের আশীৰ্ব্বাদভাজন হইয়াছেন। এখান হইতে সকলে ইডেন গার্ডেনের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । বাগানটীর শোভা দর্শন করিয়া দেবগণ মোহিত হইলেন। ইহঁারা ভ্রমণ করেন, আর পাছে ইংরাজের আসিয়া ঘুসি মারে, এই আশঙ্কায় পশ্চাৎ পশ্চাৎ ফিরিয়া চান। বেড়াইয়া ক্লাস্তিবোধ হইলে সকলে একখানি বেঞ্চে উপবেশন করিলেন। ইন্দ্র বলিলেন “আহা ! কি চমৎকার রাস্ত ঘাট এবং বিলাতী বৃক্ষাদি দ্বারা নিৰ্ম্মিত নিকুঞ্জ কানন।” বরুণ। দেবরাজ ! ও দিকে দেখুন কেমন একটা সুন্দর ব্রহ্মদেশীয় মন্দির । ১৮৫৪ সালে ওটাকে ইংরাজেরা আনিয়া এখানে স্থাপন করিয়াছেন। ওদিকে দেখ ফোয়ারা দিয়া কেমন সুন্দর জল উঠিতেছে ! এই সময় বৈদ্যুতিক আলোগুলি আপনা হইতে জলিয়া উঠায় উপ চাৎকার করিয়া কহিল, “কৰ্ত্ত-জেঠা ! বাজী দেখ—বাজী দেখ । ভেল্কিতে আলো জলে ?” এই সময় নারায়ণ সবিস্ময়ে কহিলেন, “বরুণ ! এ কি আলো ? এমন কাও ত কখন দেখি নাই ! আপন হইতে বিদ্যুতের ন্তায় আলো কিরূপে জ্বলিল ?” বরুণ । ইংরাজের কৌশলে বিছ্যৎকে ধরিয়া তাহার দ্বারা যেমন তারের খবর আদান প্রদান করিতেছেন, তেমনি আবশুক মত জ্বালাইতেছেন । ব্ৰহ্মা । উঃ! অদ্ভূত ক্ষমতা। ইংরাজের অসাধ্য কিছুই নাই। ইন্দ্র। বরুণ ! তোমার কথা সত্য, উহার সহিত তুলনায় আমার
- --বেঙ্গলী এক্ষণে দৈনিক হইয়াছে।—সম্পাদক ।