8సెఇ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । এক্ষণে আমার আর সময় অসময় নাই, মুবিধা পেলেই জল ঢালি। শীতকালে মফঃস্বলের খোদ কৰ্ত্তারা পল্লীগ্রাম দর্শনে বাহির হইবেন, র্তাহাদের অভ্যর্থনার্থ পচা বিচালির গাদায় জল ঢেলে মাছি, মশা ও অপরাপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীটের জন্ম দিব। ঐ হুজুরের বর্ষার সময় পল্লীগ্রামে যাইয়া লোকের রাস্ত ঘাটের কষ্ট দেখেন না। শীতকালে মুখের সময় যাইয়া থাকেন। অতএব আমার স্বঃ কীটগুলো যদি চক্ষে প্রবেশ করিয়া দেখা বন্ধ করে, তাহা হইলেও প্রজার কষ্ট কতকটা অনুভব হইতে পরিবে । বরুণ প্রস্থান করিলেন। দেবতারা মুখ হাত ধৌত করিলেন এবং নগর ভ্রমণে বহির্গত হইবার জন্য সকাল সকাল আহারের উদ্যোগ করিলেন। তাহারা "বরুণ এই আসে এই আসে” করিয়া অধৈর্য্য হইয়৷ আহারান্তে বাসা হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন। বাহিরে আসিয়া নারায়ণ কহিলেন, “এই বড় বাড়ীটি লক্ষ করিয়া চল আমরা সোজা দেখিতে দেখিতে যাই। গলি ঘুজিতে প্রবেশ করিব না, তাহা হইলে রাস্ত হারাইয়া কেলিব।” সকলে নারায়ণের কথায় সন্মত হইয়া দেখিতে দেখিতে চলিলেন । র্তাহারা অন্যমনস্ক হইয়। যেমন একটী মোড়ের নিকটে দাড়াইয়াছেন, অমনি চশমা চক্ষে এক প্রাচীন মুসলমান তাহাদের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। সে পিতামহের নিকট আসিয়া কহিল, “বাবা! তুমি চক্ষে একটু একটু ঝাপা দেখ বটে !” ব্ৰহ্ম ৷ কৈ না ! মুস। না বাবা! গোপন করে না। আমি ঐ রোগে বড় কষ্ট পেয়েছি ব'লেই ব’লছি। ব্ৰহ্মা। কৈ ! আমি ত ঝাপা দেখচিনে । মুস। না দেখুলেই ভাল। যদি কিছু হয়, এই জন্তই ব’লুচি ; দুচারিট পয়সা খরচ ক’লে ভাল হবার এখনও উপায় আছে। পিতামহ কিছুক্ষণ ভাবিলেন। পরে দুই চক্ষু রগড়াইলেন। চক্ষু রগড়
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।