পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ৪৯৭ গঙ্গাতীরে একটা ঘাট প্রতিষ্ঠা করেন । ১৮৬৩ সালে ইহঁার মৃত্যু হয়। ইহার পুত্র প্রেমনাথ মল্লিক ঐক্ষেত্রের জগন্নাথের রন্ধনশালা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । বৃন্দাবনের বংশীলাল গোস্বামীর কুঞ্জ খরিদ করেন । এই বংশের মতিলাল মল্লিক বৃন্দাবনে একটা কুঞ্জবাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। তথায় রাধাপ্তামজী বিগ্ৰহ প্রতিষ্ঠা করেন । ইহার পোষ্যপুত্র বাবু বদুলাল মল্লিক । ইনি মাহেশে একটী কুঞ্জবাটী প্রতিষ্ঠা করিয়া দিয়াছেন । এবং ১৮৭৪ সালে মাতার তোল ব্ৰত উপলক্ষে বিস্তর টাক। ব্যয় করিয়াছিলেন । এখান হইতে যাইয়া সকলে শেঠেদের বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন – “ইহঁার পলাশীর যুদ্ধের ৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে আসিয়া কলিকাতায় বাস করেন । ইহঁরা অত্যন্ত ধনী ব্যবসায়ী । ইহঁার। আবাসবাটীর নিকটে গোবিন্দজী নামক বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ইহারাই পুত্ৰ কস্তাদিগের বিবাহের স্ববিধার জন্ত বসাকদিগকে আনিয়া কলিকাতায় বাস করান। বসাকেরাও অত্যস্ত ধনী । যখন ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কেল্লা নিৰ্ম্মাণ করেন, তখন শেঠ ও বসাকদিগকে বড়বাজারে জমী বদল দিয়া তাহদের বাসস্থানের জমী লন। ঐ দুর্গ ডেলহাউস স্কোয়ারের উত্তরপশ্চিম দিকে ছিল । শেঠেরা যখন উঠিয়া আসেন, গোবিন্দজীকেও বড়বাজারে উঠাইয়া আনেন । এই বংশের যাদবেন্দু শেঠ রাধাকান্তজী নামক বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । উক্ত ঠাকুর বঁাশতলা ষ্ট্রীটে ৫ নং বাটীতে আছেন ।” দেবগণ এখান হইতে বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে , বরুণ দেবগণের জলযোগের জন্ত কিছু মিষ্টান্ন খরিদ করিয়া লইলেন । উপ যাইবার সময় চতুর্দিকে চাহিয়া হা করিয়া যাইতে লাগিল ; অনুন কুড়ি বাইশ বার হোচটপাইল । দেবগণ বাসায় আসিয়া জলযোগ আরম্ভ করিলেন । নারায়ণ কহিলেন, e: