পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8వty দেবগণের মর্ত্যে আগমন "মর্ত্যের জল-হাওয়ার বেশ ক্ষুধা হয়। স্বর্গে আমরা ক্ষুধা তৃষ্ণ কাহাকে বলে জানিতাম না ।” ব্ৰহ্মা। শরীরে পাপ প্রবেশ ক’চ্ছে কিনা ! পাপী ব্যক্তিরাই ক্ষুধা তৃষ্ণায় কষ্ট পায়। জলযোগ করিয়া পুনরায় সকলে একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া নগর ভ্রমণে বাহির হইলেন । র্তাহার এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, একটি বাড়ীর গাত্রে বৃহৎ বৃহৎ ইংরাজী অক্ষরে কি লেখা রহিয়াছে। তষ্ট্রে দেবরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন “বরুণ ! এ বাড়ীটি কি ?” বরুণ। এ বাড়ীটির নাম বাথ গেট কোম্পানির দাওয়াইখানা ; এটা এই সহরের মধ্যে একখানি প্রধান ঔষধের দোকান ৷ ইহঁার খারাপ ঔষধ বিক্রয় করেন না । আরো অনেক ঔষধের দোকান আছে ; ষে ঔষধ নষ্ট হইয়া যায়, তাহার তাহ সুলভ মূল্যে বিক্রয় করিয়া নুতন ঔষধের আমদানী করে। ঐ পচা ঔষধ বাজারওয়ালারা সস্তাদরে কিনিয়া লইয়া গিয়া অপরাপর ঔষধালয়ে বিক্রয় করে । বেশী মাত্রায় পল্লীগ্রামে ৰায়। তথাকার হাতুড়ে ডাক্তারেরা সেই পচা ঔষধে মনের সাধে জল মিশাইয়ারোগীদিগকে খাইতে দেয়। যে রোগীর অখও পরমায়ু, তিনিই বেঁচে যান ; কিন্তু ঔষধের দাম দিতে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইতে হয়। ঐ খারাপ ঔষধ বেশী পরিমাণে ব্যবহার হওয়াতেই দেশের এত শোচনীয় অবস্থা । ব্ৰহ্মা । যাহাদের ঐ সব ঔষধালয়, তাহারা ত মহাপাপ করেন । পুরাতন ঔষধ বিক্রয় না করিয়া গঙ্গার জলে ফেলিয়া দেওয়াই কৰ্ত্তব্য । তাহার বিক্রয় না করিলে, পচা ঔষধ দেশ-দেশাস্তরে যাইত না, দেশেরও এমন দুরবস্থা হইত না । বরুণ। মানুষের আজও ততদুর বোধ ও নিঃস্বার্থ প্রবৃত্তি জন্মে নাই। দেবগণ দেখেন—দোকানের বাহিরে দুটা লোক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সময় দোকানের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি বাহিরে আসিল । উহার তাহার নিকট ঘাইয়া কহিল “আপনাকে শিশি ধোয়া জলগুলো দিতেই