পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা 8వసి হবে। দেখুন ঐ জল আমরা দেশে লইয়৷ বিলক্ষণ দশ টাকা লাভ করিব। আপনি স্বদেশস্থ এবং এই দোকানে কৰ্ম্ম করেন বলিয়াই আসিয়াছি।” সে ব্যক্তি "আচ্ছা” বলিয়া দোকানে প্রবেশ করিলে প্রথম দুই ব্যক্তি বসিয়া গল্প আরম্ভ করিল। একজন কহিল—“আমরা ছাইতে ন পারি, গোড় চিনি। রোগের ঔষধই উপবাস । তাহাতে রোগ না সারিলে ঔষধ দিই। জল ঔষধে যদি বিকার টেনে আনে, দিন থাকিতে বলি আমার অসাধা, ভাল ডাক্তার আন । ভাল ডাক্তারের হাতে মরে, তাহাদের বদনাম হয় । আমরা মাধব কবিরাজের শালার মত জেল্পাত্ত মানুষ মারিনে। ছিঃ! ছি:! লোকটা ধড়ফড় ক’রে মরে গেল - ২য় । সে কিরূপ ? ১ম । জান না ?—মাধব কবিরাজের শাল, যাহাকে আমরা মামা ব’লে ডাকিতাম । ২য়। চিনেছি, ধড়ফড়য়ে মরে গেল কি ? ১ম। এ খবর রাখ না ? মাম, তার বোনাই মাধব কবিরাজের বাড়ীতে খেতেন আর ভাগিনেয়দের কোলে পিঠে করতেন। লেখাপড়া জানা দূরে থাক, হাতে-খড়ি পর্যন্ত হইয়াছিল কি না সন্দেহ। মাধব কবিরাজের মৃত্যুর পর মামা বল্লেন, “আমি চিকিৎসা'ব্যবসা আরম্ভ করি, কারণ আমাদের যজমানের সুচিকিৎসকের অভাবে কার দ্বারস্থ হইবে ?” কিন্তু দুঃখের বিষয়, মামাকে কেউ ডাকে না । হঠাৎ একটা রোগীর আসন্নকাল ঘুনিয়ে এসেছিল, সে মামাকে ডাকিতে আসিল । মামা মহাসন্তুষ্ট হইয়া মাধব কবিরাজের আলমারী খুলিয়া ঔষধ বাছিতে লাগিলেন ; তাহার ঔষধ আর মনস্থ হয় না। যে ডাকিতে আসিয়াছিল, তাহাকে কহিলেন, “হঁারে রোগীর বয়স কত ? জোয়ান না বালক ?” সে কহিল, “জোয়ান, কাল সবে জর হয়েছে।” এই সময় মামা বড় বড় লাল ঔষধ দেখিয়া কহিলেন, “ই হুঁ, তাকে এই মৃত্যুঞ্জয় ঔষধ খাওয়াতে হবে i*