পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯৫

কলিকাতা Q o> বরুণ । ঔষধার্থে লোকে স্নেচ্ছের জল খাচ্চে, ডোম ত বাপের ঠাকুর । এখান হইতে সকলে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—অনেকগুলি সাহেব একটা বাট হইতে পোষাকাদি খরিদ করিয়া প্রত্যাগমন করিতেছেন। বাটীর গায়ে বড় বড় ইংরাজী অক্ষরে কি লেখা রহিয়াছে। ইন্দ্র। বরুণ ! এ বাড়ীটি কি ? বরুণ। ইহার নাম হোয়াইটওয়ে লেডলর আফিস । এই স্থানে সাহেবদিগের যাবতীয় পরিচ্ছদাদি বিক্রয় হয়। অনেক মেম এখানে বস্ত্রাদি খরিদ করিতে আসিয়া থাকেন বলিয়া বিস্তর মেম চাকরাণী আছে । এখানকার দোকানীরা অনেক অংশে ঘটকের কাজ করে ; কারণ যে সমস্ত অবিবাহিতা মেম বস্ত্রাদি কিনিতে আসে, তাহাদিগকে অপর কোন অবিবাহিত সাহেবের রূপ গুণের বর্ণনা করিয়া সম্মত করাইয়া বিবাহ দেয় এবং অনেক বিক্রেতা ঐ স্ত্রীলোকদিগকে লইয়া— এই সময় দুইজন বাঙ্গাল আসিয়া দেবগণকে কহিল “মোশার কইতে পারেন, এইটার নাম কি হোয়াটওয়ে লেড়লর অফিচ আপনার জানেন—এক একটা হাট ও সাহেবী পোষাক করতি মূল্য কত লাগবে ?” বরুণ। সাহেবী পোষাকে তোমাদের আবশুক কি ? বাঙ্গা । আমরা পচ্চিম যাইবার মনস্থ ক’রেছি। হাট কোট, দেখুলি লোকে সাহেব ঠাওরাইয়া ঠ্যাস মার্বে না । নারা । তোমাদের বর্ণ কৃষ্ণ, সাহেব সাজিলে মানাবে কেন ? বাঙ্গা । কৃষ্ণবর্ণের কি সাহেব নেই ? ইন্দ্র । যাকৃ, তোমরা কি ব’লে আত্মপরিচয় দেবে ? বাঙ্গা । আমরা ডিক্রুজ মিকুজ যাহোক একটা কইমু । নারা। বরুণ ! আমাদেরও একটা সাহেবী পোষাক কিন্‌লে হয় না ? স্বর্গে প্রত্যাবৰ্ত্তন-সময়ে সাহেব সেজে গেলে রহস্ত মন্দ হবে না । ইহার পর এক স্থানে উপস্থিত হইয়া বরুণ কছিলেন, “ওদিকে দেখুন