কলিকাতা & eు এখানকার গহনাদির গড়ন যদি ভাল হয়, প্রত্যাগমন-সময়ে মহিনীর জ্ঞ এক প্রস্ত খরিদ করিতে হইবে। বরুণ এই কথায় সন্মত হইয়া দেবগণকে ভিতরে লইয়া যাইয় দেখেন —একজন পল্লীগ্রামের জমীদার গহনাদি খরিদ করিয়া ৰিষম বিপদগ্রস্ত হইয়াছেন। সাহেবের চালানের পৃষ্ঠে তাহাকে নাম স্বাক্ষর করিয়া দিবার জন্ত জেদ করিতেছে ; কিন্তু বাবুর হাতে-খড়ি না হওয়ায় কি করিয়া নাম স্বাক্ষর করিবেন ভাবিয়া গলদঘৰ্ম্ম হইতেছেন। লোকটা চালাক, অবশেষে আপনার নামাঙ্কিত মোহরের ছাপ দিয়া কাজ সারিলেন । তৎপরে সাহেবদিগের উপরোধে টেবিলে বসিয়া কি কতকগুলো গিলিতে লাগিলেন । পিতামহ একদৃষ্টে তাহার প্রতি চাহিয়া কহিলেন, “লেখাপড়ায় ত পণ্ডিত খুব । এদিকে দক্ষিণ হস্তের বিষয়ে দেখচি পটু ৷ বরুণ ! ও পাষও কে ?” বরুণ। উনি এক পল্লীগ্রামের মূর্খ জমিদার। লেখাপড়ার মূৰ্ত্তিমস্ত— কিন্তু লোকের নিকট এই ভাব প্রকাশ করেন যে, উনবিংশ শতাব্দীর একজন স্বশিক্ষিত অবতার। ইন্দ্র। বরুণ । উনবিংশ শতাব্দীর লোকের কেমন ? বরুণ । ইহাদের মেজাজ ইংরাজী ধরণের। ইহাদের সভ্যতা ও চালচলনও সাহেবী গোছের। অনেকে হিন্দুধৰ্ম্ম বিশ্বাস করেন না, একমাত্র নিরাকার ঈশ্বর স্বীকার করেন ; কিন্তু কাজেও তাহ দেখান না। ধুতি চাদর পরিধান ও মাছের ঝোল ভাত অনেকের ভাল লাগে না । হাট কোট পরিধান করিয়া টেবিলে বসিয়া মগু-মাংসাহার বেশী পছন্দ করেন । ইহঁাদের স্ত্রীই সৰ্ব্বস্ব । অনেকে মাতাকে মাতা বলিয়া পরিচয় না দিয়৷ বাপের পরিবার বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন । এই উনবিংশ শতাব্দীতে পৈতা ফেলা ও ব্রাহ্ম হওয়া লোকের একটা সংক্রামক রোগ হইয়t দাড়াইয়াছে। এই শতাব্দীতে ৰাপের গায়ে পা ঠেকিলে “বেগ ইওর পার্জন”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।