পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

go 8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন বলিয়া ক্ষমা চায়। নিজে গাড়ী জুড়ী হাকান এবং বাপকে বাজার করতে পাঠান। পরিবার রাধলে পাছে অসুখ হয় এই জন্ত মাকে দিয়া রাধান হয়। স্ত্রী-পুরুষের কথোপকথন পাছে বাপ-মার কানে যায়, এজন্ত নীচের অন্ধকার ঘরে তাদের গুতে দেন । ব্ৰহ্মা । ও ষাকৃ—কলিতে যা যা হবার তা এই উনবিংশ শতাব্দীতে হচ্চে, ও আর শুনে কি হবে। বরুণ মূর্থ জমীদারের কে—আমাকে বিশেষ করিয়া বল। বরুণ । আপনার স্মরণ থাকিতে পারে, লক্ষ্মণ শক্তিশেলে প্রাণত্যাগ করিলে হনুমান ঔষধান্বেষণে গমন করিলেন । ঔষধ রজনীমধ্যে না আনিতে পারিলে লক্ষ্মণ আর জীবিত হইবেন না শুনিয়া রাবণ নিজ মাতুল কালনেমি নামক এক রাক্ষসকে ডাকিয়া কহিলেন, “মামা ! যদ্যপি তুমি কোনরূপে হনুমানকে প্রতারণায় বশীভুত করিয়া রজনী প্রভাত করিতে পার, আমি তোমাকে রাজ্যের অৰ্দ্ধাংশ তুল্যরূপে প্রদান করিব ; তোমার বুদ্ধি অতি প্রখর এবং পরিমাজ্জিত, তজ্জন্তই এই মহৎ ভার অর্পণ করিতেছি । আমি তোমাকে ভারাপণ করিয়া নিশ্চয় জানিতেছি যে, তোমারই দ্বারা আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে । রাবণমুখে নিজ প্রশংসাবাদ গুনিয়া বিশেষতঃ রাজ্যপ্রাপ্তির লোভে রাক্ষস হৃষ্টচিত্তে প্রস্থান করিল এবং হনুমানকে মায়ায় বশীভূত করিয়া এক সরোবরে স্নানার্থ পাঠাইল । স্বানান্তে হনুমানের প্রত্যাগমন করিতে বিলম্ব হইল দেখিয়া কালনেমি মনে মনে ভাবিল, পুষ্করিণীতে যেরূপ কুম্ভীরের উপদ্রব, বোধ হয় বানরটাকে এতক্ষণ উদরসাৎ করিয়াছে ; অতএব আমি রজ্জ্ব পাকাই, নচেৎ কি দিয়া রাবণের অৰ্দ্ধেক রাজ্য মাপিয়া লইব । কালনেমি দড়ি পাকাইতেছে, এমন সময় হনুমান প্রত্যাগমন করিয়া তাহাকে সংহার করিতে উদ্ধত হইল। রাক্ষস প্রাণ যায় দেখিয়া রোদন করিতে করিতে কহিল, “হায়! আমার রাজ্যভোগ অদৃষ্ট হইল না, হাতের দড়ি হাতেই রহিল ।” হনুমান তাহার রোদনে