কলিকাতা ¢eዓት ইন্দ্র । আমি ভাই দাম দিচ্চি, ও ছড়াটা আমাকে দেও। নার। তা আমি দেব কেন ? বলিতে কি, জলের দামে কিনেছি । এই সময় বরুণ আসিয়া কহিলে-, “শনি নয়, শুনলাম সে সহরের গলিতে গলিতে ফেরে ; কিন্তু দেখা পাবার যো নাই দেখা পেলে উপকে হাতে হাতে সমর্পণ করে নিশ্চিন্তু হ’তাম।” নারা । বরুণ ! তুমি গেলে—আমি দশ টাকায় একছড়া বহু মূল্যের সোণার সাতনর কিনেছি। বরুণ । কোথায় ? নারা । একটা লোক রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে আমাকে সস্তাদরে বেচে গেল । বরুণ। মরেছ ? প্রতারকে ঠকাইয়া গিনি সোণ ব’লে বেচে গিয়েছে । নারা । বল কি ? দেবরাজ ! কিস্তে চাচ্ছিলে ? নেবে ? কি আশ্চৰ্য্য ! লোকটী রাস্তায় কুড়িয়ে পেলাম বলায় আমি বলেছিলাম— আজ তোমার লাভের কপাল! শেষে লাভটা কি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ক’রে গেল ! ব্ৰহ্মা। স্ন্যা ! কেঞ্চ, ঠকৃলি ? বলি– সোণ দানা কিনিবার কি আর স্থান ছিল না ? স্বর্গে কি সোণার অপ্রতুল আছে ? নারী। এখানকার গড়ন ভাল । ব্ৰহ্মা । গড়ন নিয়ে তুই ধুয়ে থা। দেবগণ আবার চলিলেন এবং যাইয়। চাদনীর চুকের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তাহার দেখেন, অধিকাংশ দোকানে সাহেবদের কোট,পেণ্টলন বিক্রয় হইতেছে এবং অনেক মনোহারীর দোকান রহিয়াছে। অনেকগুলি দোকানে পিত্তল ও লোহার দ্রব্যাদি বিক্রয় হইতেছে । উপ কহিল,“কর্তীজেঠা ! আমার পায়ে জুতা নাই, ঐ মেলা জুতা বিক্ৰী হচ্চে, এক জোড়া কিনে দেবে ?” দেবগণ তৎশ্রবণে জুতার দোকানের
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।