G eb- দেবগণের মর্ত্যে আগমন নিকট উপস্থিত হইলে । চতুর্দিক হইতে দোকানদারের –“বাৰু, এদিকে আসুন, ভাল জুতা বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল ! তাহার একটী দোকানে প্রবেশ করিলে একজন বাঙ্গাল কহিল, *মশয়ের এহানে জুতা লইবেন না, এর ডাহাতি করতি পারে। আমি এই জুতা জোড়াটা পায়ে দিয়ে দেখছিলাম বলে পাচ সিহার জুতার দাম পাঁচ টাকা কৈচে। লব না কইচি তাতে বলচে—যখন পায়ে দিছ লিতেই হবে! দেহবো এর কেমন কইরে দাম আদায় করে । সত্যি আমি যগুরে বাঙ্গাল নই আমার নিবাস ডাহায় । সেহানেও জুতার দোকান আছে, সেহানেও জলের কল অইচে ।” রাস্তা দিয়া একজন যশোহরের বাঙ্গাল যাইতেছিল, ছুটিয়া আসিয়া কহিল, “হালা, কি কইচিস্ ? যগুরে বাঙ্গালরা বাণের জলে ভেসে আইচে, আর ডাহার হালারা—” দেবগণ বাঙ্গালদ্বয়ের বিবাদ দেখিতে দেখিতে চলিলেন । দোকানী কহিল, “মহাশয়ের জুতা নেবেন না ?” বরুণ কছিলেন, “না বাবা, যে তোমাদের গুণ শুনছি।” দেবগণ চলিয়া যাইলে দোকানী বাঙ্গালকে কহিল, “মহাশয়! উঠে যান— ভাল লোককে জুতা বেচুতে গিইছিলাম, প্রায় পঞ্চাশ ষাট জন খদেরকে “এরা জুয়াচোর" “এরা জুয়াচোর" বলে তাড়ালে । আপনি উঠে যান।” বাঙ্গা । পাঁচ সিকায় হবে না ? ' দোকা। না.৷ বাঙ্গাল হাসিতে হাসিতে প্রস্থান করিল । ওদিকে বরুণ যাইতে ঘাইতে কছিলেন, “চাদনীর চকের জুতা-বিক্রেতার বড় দুষ্ট । উহারা পল্লীগ্রামের লোক পাইলে পাচ সিকার জুতায় পাঁচ টাকা লয়। প্রকৃতই উহাদের দোকানে জুতা একবার পায়ে দিয়ে, যদি দরে বনিবনাও নহয়, “কেন পায়ে দিলে* বলিয়া গোল করিয়া টাকা আদায় করিয়া লয় ।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।