কলিকাতা Q>○ ব্ৰহ্মা। ঠিক ! ঠিক ! আমি ভুলে গিয়েছিলাম, সাহেবেরা যে কলেই সব ক’ৰ্বতে পারে। - এই সময় একপাল সাহেব বিবি আসিয়া উপস্থিত হওয়ায় পিতামহ ভয়ে পলাইতে চাহিলেন । বরুণ কহিলেন, “ভয় নাই, ইহার নাটুকে সাহেব ; ইহাদের নিয়ম আছে, দলের মধ্যে সুন্দরীদিগের চেহারা অঙ্কিত করিয়া রাস্তায় রাস্তায় লটুকাইয়া দিয়া জানায় যে, অদ্য রজনীতে এই সকল সুন্দরী অমুক নাটকের অভিনয় করিবেন।” নারা । বরুণ। তুমি বল্লে—এই সকল সুন্দরীরা ; কিন্তু ইহাদের মধ্যে সুন্দরী কই ? বরুণ । তুমি ইংরাজ সুন্দরী কাহাকে বলে জান না, সেই জন্তই ও কথা বলিতেছ। ইংরাজদিগের মধ্যে যে স্ত্রীলোকের গলা লম্বা, চক্ষু কট ও ক্ষুদ্র, চুল তাম্রবর্ণ এবং গায়ের রং লাল, তিনিই সুন্দরী। এই সময় কৃষ্ণবর্ণ কাফ্রিবিশেষ একটী বাঙ্গাল যুব, সস্ত্রীক চেহারা তুলিতে আসিল । স্ত্রীট-পরম মুন্দরী ; পিতামহ একদৃষ্টে তাহাদের দিকে চাহিয়া দেখিয়া কহিলেন, “বরুণ ! এরা কারা ?” বরুণ । ইহারা স্ত্রী-পুরুষে একত্র চেহারা উঠাইতে এসেছে। ব্ৰহ্মা । আরে না—বারণ কর । মাগী চেহারা তোলে তুলুক, মিন্সে যেন ও চেহারা আর তোলে না । নার। মিন্সের অপরাধ কি ? আপনি উহাকে যে চেহারা দিয়েছেন, ও লোক ভাল, তাই দুঃখ না ক’রে হেসে খেলে বেড়াচ্চে এবং মনের আনন্দে প্রতিমূৰ্ত্তি তুলতে এসেছে। বলি ঠাকুরদা! প্রাণের সখটা ত সকলেরই আছে। ব্ৰহ্মা । আমি সে জন্ত তুলতে বারণ ক’চ্চি না । একে ঐ চেহারা, তাহাতে আবার তুলতে যদি খারাপ ক’রে ফেলে। মাগী হয়তে চেহারা দেখে অসন্তুষ্ট হয়ে ইংরাজী ধরণের পরিত্যাগ করে ফেলবে। ভারতের যেরূপ অবস্থা দেখছি, তাহাতে কিছুই অসম্ভব নহে। (C(م\
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।