পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ( )(t তিনি সমস্ত দিন খেটে, দুঃখে কষ্টে বাট যাইতেছেন, হঠাৎ পাণের পিক মস্তকে লাগায় উদ্ধে দৃষ্টি করিয়া দেখেন—বেতার করতালি দিয়া হাস্ত করিতেছে। যে সকল কেরাণীর খেটে খেটে অস্থি-মজ্জা চুৰ্ণ হইয়াছে, র্তাহারা বিনা বাক্যব্যয়ে হনূহন ক’রে চলে গেলেন । দুই এক জন তাজ কেরাণী, র্যাহাদের শোণিত অদ্যাপি উষ্ণ আছে, সহ করিতে পারিলেন না । কহিলেন, “জনিস—তোদের জব্দ করতে পারি। আমরা সরকারি পথ দিয়া যাচ্চি—তোরা ওরূপ গমনের ব্যাঘাত করায় অভিযোগ করলে সাজ। পাইতে পারিস ? মৰ্বছিস বেস্তাবৃত্তি করে, তোদের এত অহঙ্কার কেন ?” বেতারা এই কথায় খিলখিল শব্দে হাসিয়া উঠিল এবং কহিল, “আমর মিন্সে ! যাচ্চেন কেরাণীগিরি করে, আবার রাগটুকু আছে । আজিও বাবুদের সখ মেটেনি—গোপ রাখা হয়েছে। আমরা বেগু, বেস্তাবৃত্তি করি বটে, কিন্তু তোদের মত সাতটা কেরাণীকে পুষতে পারি। এই ত সমস্ত দিন কলম পিষে এলি—কি, আনলি? আমরা ঘরে বসে ঘণ্টায় আট দশ টাকা উপায় করি তোর তিন পুরুষে চাকরী ক’রে যা না ক’বৃতে পাবে, আমরা এক পুরুষে ত ক’রেছি। কলিকাতায় ঈশ্বর ইচ্ছায় দুই তিন খান বাড়ীও আছে, আর গায়েও এই দেখ, দুই তিন হাজার টাকার গহনা রয়েছে। তোরা আমাদের চাকর হবি ? আফিসে যে মাইনে পাস্—দেব ।” “তবু চোঁদ আইন নাই” বলিয়া কেরাণীরা একটা দোকানের নিকট যাইল। এই স্থানে এক জন মেথর রাস্ত বাট দিতেছিল ; কেরাণীদিগকে দেখিয়া নষ্টামী করে সমস্ত ধূলা সেই দিকে ঝাঁট দিয়া ফেলিতে লাগিল কেরাণীর বিষন্নমুখে অপর দিক দিয়া চলিলেন। ব্ৰহ্মা। দেখ বরুণ! আজ আমার কেরাণীদিগের দুরবস্থা দেখিয়া বড় কষ্ট হইল। অর্থব্যয়ে বিদ্যা শিক্ষা করার কি এই ফল ? তুমি আমাকে কলিকাতার কেরাণীদিগের অবস্থা সবিশেষ বল । বরুণ। এই কেরাণীদিগের মধ্যে অনেকে বাড়ী গিয়া দেখিবেন, ঘরে