পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা Q>? বেলা হয়েছে। তিন দিন বেলা হয়েছিল। আজ হ’লে আর কৰ্ম্ম থাকৃবে না ।- "তোমার কৰ্ম্ম থাকৃলেই বা কি আর গেলেই বা কি ? বলিয়া গিরি সধুম ভাত, ডাল, তরকারি ও দুগ্ধ দিয়ে গেলেন। বাবু দেখিলেন সকলই গরম, ঠাণ্ড ক’রে খাবার সময় নাই ; অতএব ভাতের উপর সমস্ত ডাল ও তরকারি ঢেলে ফেলে একটা কাঠি দিয়ে নেড়ে তপ্ত তপ্ত আঃ ! উঃ ! শব্দে গিলিতে লাগিলেন । এইরূপে অল্পগুলি উদরস্থ করিয়া দুগ্ধ খাইবার সময়ে দেখেন তখনও গরম আছে ; অতএব উবু হইয়া কয়েকবার ফুদিয়া যখন কিছু করিতে পারিলেন না, তখন গ্লাসের জল তাহাতে ঢালিয়া দিয়া দুগ্ধ পান করা হইল। কলিকাতার দুধ একে জল, তাহাতে জল ঢালিয়া বাবু যে কি আস্বাদ পাইলেন, তাহা বাবুই জানেন । আহারাস্তে একটী পাণ স্বহস্তে সাজিয়া লইয়া দ্রুতপদে আফিসে বাহির হইলেন । তথায় যাইয়া সমস্ত দিন সাহেবের কাটা লাথি খান, তৎপরে প্রত্যাগমনের মুখ আপনি স্বচক্ষে দেখুলেন । . ব্ৰহ্মা। দেখ বরুণ! আমি আমার মনুষ্যগণের অদৃষ্ট্রে মুখ লিখি বটে কিন্তু “এর জীবন মুখে যাবে—ওর জীবন কষ্টে যাবে” তাহ কিছু বিশেষ করিয়া লিখি না। এত লিখিবার আমার সময়ও নাই এবং মমুষ্যের ললাটে তাদৃশ স্থানও নাই। তবে আমার মামুষেরা যে এত কষ্ট পায়, সে কেবল নিজের দোষে। আমি বলছি,—সত্য ক’রে বলছি, ওর কেরাণীগিরি ছেড়ে কৃষিবিদ্যা কি শিল্পবিদ্যা শিখুক, অথবা ব্যবসা আরম্ভ করুক, মুখী হইতে পারিবে। আর কেরাণীগিরি যেন কেহ না করে । ক্রমে সন্ধ্যা হওয়ায় দেবগণ বাসায় চলিলেন । যাইতে যাইতে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! অপরাহ্লে আহার করা হইয়াছে, এ বেলা আর তাদৃশ ক্ষুধা নাই ; অতএব ঐ সম্মুখের দোকানটা হইতে কিছু মিষ্টান্ন খরিদ করিয়া লইলে হয় না ? রজনীতে জলযোগ করিয়া কাটান যায়, অনর্থক কষ্ট করিয়া রাধিবার আবশ্যকতা কি ?”