পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G ૨૨ দেবগণের মর্ত্যে আগমন উপায় কি ?” যুবা চলিয়া যাইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ! উহার কি হইয়াছে ? ও আপন মনে দুঃখ প্রকাশ করিতে করিতে যাইতেছে কেন ?” বরুণ। ঐ যুবা ইংরাজী ধরণের কোর্টসিপ করিয়া বিবাহ করিবার অভিলাষে এক গৃহস্থের সুন্দরী মেয়ের নিকট যাতায়াত করিত। বিবাহের পূৰ্ব্বে মেয়েটার গর্ভ হইয়াছে। যুবাৰ পিতা এ সব ঘটনা জানেন না, তিনি কহিতেছেন, “উহার কুলীন নছে, অতএব যদ্যপি আমার অমতে ওখানে বিবাহ কর, গুলি ক’রে মারবো।” মেয়েট যুবাকে কহিতেছে, “আমার যখন এ দশ করেছ, বিবাহ না করলে সগর্ভে জলে ডুবে ময়ূবে * মেয়ের মা কহিতেছেন, “আমার মেয়ের অমন দশা ক’রে, বিবাহ না ক’বৃলে বিষ থেয়ে মর্ব ।” যুব এইরূপ বিষম সঙ্কটে পড়িয়াই দুঃখ করিতে করিতে যাইতেছে। সাহেব-মহল হইতে দেবগণ জোড়াতালাওয়ে যাইয়া দেখেন—পরীরা গাড়ী পান্ধী ধরিয়া টানাটানি করিতেছে। দেবগণ এই ঘটনা দেখিয়৷ অত্যন্ত ভীত হইলেন । পিতামহ দৌড়িয়া পলাইয়া অপার সাকুলার রোডে দাড়াইয়। কঁাপিতে লাগিলেন । দেবতারা যাইয়। র্তাহার নিকট উপস্থিত হইলে কহিলেন, “বরুণ, অমন সৰ্ব্বনেশে স্থানে নিয়ে যায় ও মাগীগুলো কে ” বরুণ। উচ্চার। জৰ্ম্মণী, ইটালী, রুসিয়া প্রভৃতি স্থান সকলের স্ত্রীলোক । উহাদের স্বভাব—ওস্থান দিয়া গাড়ী পান্ধী যাইলে ধরিয়া টানাটানি করিয়া আমোদ করে । নারা । এ রাস্তাটা কি এখানে ত ভয় নাই ? বরুণ । না, এখানে কোন ভয় নাই। এই রাস্তাটর নাম অপার সাকুলার রোড। এই রাস্তাটকেই কলিকাতার পুৰ্ব্ব সীমা বলিলে বলা যাইতে পারে । ওদিকে ঐ যে একটা নয়ানজুলি দেখিতেছ, উহার নাম মহারাষ্ট্রীয় ডিচ, । নবাবী আমলে সীমা নিৰ্দ্ধারণ করিবার জন্তই ঐ