পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qミや দেবগণের মর্ত্যে আগমন হইলে রাসমণি বলিয়াছিলেন, “আমি মার বড় আদুরে মেয়ে ছিলাম, তিনি আমাকে জাদর করিয়া রাণী রাণী বলিয়া ডাকিতেন, সেই হইতেই রাণী রাসমণি নাম হইয়াছে।” ব্ৰহ্মা। বেশ চতুরা স্ত্রীলোক ! বরুণ! তুমি রাণীর বিষয় আরো বল ? বরুণ। ইহঁার পুত্রসস্তান ছিল না, কয়েকট মাত্র কল্প ছিল। যদুনাথ মাড় ইহঁার বড় দৌহিত্র। যদুনাথের মাতার—রাসমণি বর্তমানে মৃত্যু হওয়ায়, যদুনাথ মাতামহীর বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইতে পারেন নাই । রাসমণি অনেক সৎকীৰ্ত্তি করিয়াছেন । র্তাহার কীৰ্ত্তির মধ্যে দক্ষিণেশ্বরে দ্বাদশটী মন্দির স্থাপন ও নবরত্ন প্রতিষ্ঠাই সৰ্ব্বপ্রধান। ঐ স্থানে কৃষ্ণ, কালী ও মহাদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। দেধালয়গুলির তিনি এমন সুবন্দোবস্ত করিয়া গিয়াছেন যে, কস্মিনকালে দেবতাদিগের সেবার কোন অসুবিধা হইবে না। চাদপালের ঘাটের দক্ষিণ দিকের বাবুঘাট ইহঁরই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত । জানবাজার হইতে ঐ ঘাট পর্যাস্ত যে একটা রাস্তা গিয়াছে, তাহাও ইহঁার, রাসমণির জীবিতকালে চড়কের বড় সমারোহ হইত। সেই সময়ে সন্ন্যাসীরা ঢাক ঢোল বাজাইয়া ঐ রাস্ত দিয়া যাইয়। স্নান করিয়া আসিত । ঢাকের বাদ্যে শাস্তিভঙ্গ হইবে বলিয়৷ সাহেবের অনেক চেষ্টা করিয়াও ঢাক বাজান থামাইতে পারেন নাই । রাণীরাসমণির বাড়ী দেখিয়া সকলে গড়ের মাঠের অভিমুখে চলিলেন এবং দুর হইতে দুর্গের শোভা দেখিয়া সবিস্ময়ে চাহিতে লাগিলেন। দেবরাজ কহিলেন, “বরুণ। সম্মুখে দেখা যাইতেছে—ওটা কি ?” বরুণ। উহারই নাম ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ। ইংলণ্ডের রাজা চতুর্থ উইলিয়মের সময়ে নিৰ্ম্মিত হওয়ায় ঐ নাম হইয়াছে। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! দুর্গটির আধখানা কি মাটির ভিতর আছে ?