পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(లిపి দেবগণের মর্ত্যে আগমন ব্যবহার করিবার স্বাধীনতা নাই, তবে ইহাদের আর জীবনে মুখ কোথায় ? “আন্দ্রে, জলে ফেলে নামিলে পানীয় জল নষ্ট হইতে পারে এই আশঙ্কায় পাহারা বসাইয়া জল রক্ষা করা হইতেছে । সকলেই এখান হইতে পান করিবার জন্ত জল লইতে পারে বলিয়, বরুণ উপ’র উড়ানীখানা জলে ভিজাইলেন এবং সেই জলে পিতামহের চরণ ধৌত করিয়া দিলেন। এখান হইতে সকলে একস্থানে যাইয়া উপস্থিত হইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল, “ওরে বাপরে । দেখা যাচ্চে ওটা কি ?” বরুণ । উহার নাম প্রেসিডেন্সী জেল। কলিকাতার অধীনস্থ স্থানসমূহে যত লোক ফৌজদারী মকদ্দমায় কয়েদ হয়, তাহাদিগকে এই জেলে অনিয়া অবরুদ্ধ করিয়া রাখে। ইহাতে প্রায় হাজার কয়েদী আছে । ইহার মধ্যে দেওয়ানী জেলও আছে। দেনার জন্ত যাহারা অবরুদ্ধ হয়, তাহারা উহাতে বাস করে । এই জেলখানার দক্ষিণদিকে ফঁাসীর ঘর । জেলের মধ্যে কয়েদীদিগেৰ দ্বারা নানাপ্রকার শিল্পকাৰ্য্য ও বৃক্ষাদি রোপণ করান হইতেছে। জেলের সম্মুখে একটি পুষ্করিণী আছে, উহার চতুৰ্দ্দিকৃ কাঠের দ্বার বেষ্টিত । - ইন্দ্র। এ রাস্তাটির নাম কি ? বরুণ। ঘোড়-দৌড়ের রাস্তা। ওদিকে ঐ যে একটি ঘর দেখিতেছ —উহাতে বসিয়া সাহেবের ঘোড়-দোঁড় দেখিয়া থাকে। এ রাস্তাটির পরিমাণ ২৩ মাইল। রাস্তাটির মধ্যে মধ্যে হাফ (অৰ্দ্ধ), কোয়ার্টার ( সিকি ) মাইল ইত্যাদি কাষ্ঠের গাত্রে লেখা আছে । ঘোড়দৌড়ের সময় বাঙ্গালীরাও মনে মনে বাজী রাখিয়া থাকে। নারা । সে কিরূপ ? বরুণ। মনে কর, চারিটি ঘোড়া ছুটিল দেখিয়া আমরা চারিজনে এখানে দাড়াইয়া বাজি রাখিলাম—কালটা আমার, হলদেট তোমার,