CoS দেবগণের মর্ত্যে আগমন কামড়ানতে আমার কি স্বার্থ আছে।” হাকিম কহিলেন, “তুমি বলিতেছ —ও উহার নিজের গাল নিজে কামড়াইয়াছে ; তাল—তুমি তোমার নিজের গাল নিজে কামড়াইয়া দেখাইতে পার - মাতাল পারি বলির নিজের গাল নিজে কামড়াইবার জন্য নানাপ্রকার মুখভঙ্গী করিয়া অসমর্থ হইলে দেবগণ ও অপরাপর লোক হাস্ত করিতে লাগিলেন । তখন মাতলের পক্ষের উকীল দাড়াইয়া কহিলেন, “হুজুর, আমার মক্কেল যাহা বলিতে ছেন সত্য ; এরূপ মকদ্দমা আমি বিস্তর দেখিয়াছি এবং এই বেঞ্চে অনেক হাকিমের নিকট হইয়া গিয়াছে, যাহাতে সুবিজ্ঞ হাকিমেরা আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়াছেন।” হাকিম কহিলেন, “তুমি প্রলাপ কহিতেছ, ভবিষ্ণুতে ওরূপ প্রলাপ কহিলে তোমাকে আদালত হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিব” বলিয়া মাতালের পাঁচ টাকা জরিমানা করিলেন এবং কহিলেন, “পুনরায় এরূপ কাজ করিলে গুরুতর দওভোগ করিতে হইবে। এই মকদ্দমা শেষ হইলে কতকগুলি সাহেববাড়ীর বাবুর্চিকে কতিপয় কনেষ্টবল ধরিয়া আনিল। ইহাদের অপরাধের মধ্যে—কতকগুলি কুঁক্ড়োকে গাছের ফলের মত ঠ্যাং ধরিয়া ঝুলাইয়া লইয়া যাইতেছিল। হাকিম কহিলেন, “তোমরা উহাদের প্রাণবধ করিবার পূৰ্ব্বে অকারণ কষ্ট দিয়াছ, অতএব প্রত্যেকের চরি আনা অর্থ দও করিলাম । ভবিষ্ণুতে ওরূপ করিলে গুরুতর দণ্ড ভোগ করিতে হইবে।” ইহার পর উপর মকদম উপস্থিত হইল। হাকিম পাহারাওয়ালাদিগকে তিরস্কার করিয়া কহিলেন, “কলিকাতায় কত লোকে কত লোকের সৰ্ব্বনাশ করিতেছে, তোমরা তাহার কোন খোঁজ খবর রাখিতে পার না, অথচ এই বালককে সামান্ত দোষে ধরিয়া আনিয়া বিলক্ষণ কষ্ট দিতেছ। তোমাদের আর কোন ক্ষমতা নাই, কেবল কেউ কোথাও প্রস্রাব করলে ধরবার ক্ষমতা আছে।" বলিয়া তিনি জুই আনা মাত্র জরিমানা করিয়া উপকে ছাড়িয়া দিলেন। দেবগণ সাগন্দে যাইয়া উপ’র হাত ধরিলেন এবং
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।