& 6.8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন । ইন্দ্র । বরুণ । এখানে কি উপায়ে প্রতারণা হয় ? বরুণ। - ব্যাঙ্কের লোকের সাহায্যে অনেক প্রতারক অপর লোকের চেকের নম্বর জানিয়া লইতে পারে এবং এক এক খানি জাল চেক প্রস্তুত করিয়া বেহারার দ্বারা ঐ চেক পাঠাইয়া দিয়া এখান হইতে টাকা লইয়া যাইতে পারে। এখান হইতে যাইয়া দেবগণ এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, অনেকগুলি আফিস রহিয়াছে এবং কতকগুলি বাঙ্গালী বসিয়া কাজকৰ্ম্ম করিতেছে। নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! এই স্থানটর নাম কি ? ও আফিসগুলি কাহাদের ?” বরুণ। এই স্থানের নাম নুতন চীনেবাজার, এই আফিসগুলির নাম কাপ্তেনী আফিস । নারা । কাপ্তেনী অফিস কি ? বরুণ। এক একজন বাঙ্গালীর ৩ ৪ ঘর বিলাতী সদাগরের সহিত এইরূপ বন্দোবস্ত আছে যে, তাহাদের যত জাহাজ এখানে আমদানী হইবে, ইছারা সেই সমস্ত জাহাজের যাবতীয় জিনিস পত্রের সরবরাহ করিবে, তৎপরে জাহাজ এখান হইতে প্রস্থান করিবার সময়ে জাহাজের কাপ্তেন ইহাদের নিকট হইতে যে যে দ্রব্যসামগ্ৰী পাইয়াছেন, তাহার একটা রসিদ দিয়া যাইবেন । পরে ঐ রসিদ অনুসারে এই আফিসের কৰ্ত্ত সদাগরের নিকট বিল করিলেই শতকরা কমিশন সহ টাকা পাইবেন। এই কমিশনের দ্বারা ইহঁদের বিলক্ষণ লাভ হইয়া থাকে । এখানেও বেশ প্রতারণা করা যায় । ইন্দ্র । কি প্রকারে ? বরুণ। মনে কর, কাপ্তেনকে পাচ টাকার চাউল কিনিয়া দিয়া দশ টাকার রসিদ লইলে, কে ধরিতে পারে ? এই আফিসের অধীনে সিপূসরকারের কাজ করে। তাহারাও এই কার্য্যে বিলক্ষণ উপার্জন করিয়া থাকে ; এমন কি, অনেকে যথেষ্ট সঙ্গতি করিয়া লয়।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।