←Ꮤ% e দেবগণের মত্ত্যে আগমন বাজারে দ্রব্যাদি মহাৰ্ঘ দরে বিক্রয় হইয়া থাকে বটে ; তথাপি সাহেবদের দোকান অপেক্ষ অনেক সস্তা পাওয়া যায়, এজন্ত বিস্তর খরিদদার এখানে আসিয়া থাকে। এখানে অনেক ধনী বাঙ্গালী, সাহেব বিবিদিগের সহিত সম্ভাব হইবার আকাঙ্ক্ষায় দোকান করিয়া থাকেন । এই সময়ে তীর্থের পাণ্ডার স্তায় চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে দালালগণ আসিয়া দেবগণকে পরিবেষ্টন করিল এবং কহিল—“কম্ সাৱ মাই আফিস, চিফ আর্টিকেল, লো রেট ।” পিতামহ তাহাদিগকে দেখিয়া সশঙ্কভাবে কহিলেন, “বরুণ ! ইহারা আবার কে ?” বরুণ । ইহারা চীনাবাজারের দালাল। দালালি ইংরাজিতে আমাদিগকে দ্রব্যাদি কিনিতে অনুরোধ করিতেছে । উপ। বরুণ-কাকী ! মেলা কেতাবের দোকান, সম্মুখের ঐ দোকানটা হইতে আমাকে কতকগুলো বাঙ্গালী বৈ কিনে দেওনা । বরুণ তৎশ্রবণে কতকগুলো পুস্তক খরিদ করিয়া দিয়া কহিলেন, “এই দোকানটা পদ্মচঞ্জ নাথের ।” { নারায়ণ তৎশ্রবণে মুখে কাপড় দিয়া হস্ত করিতে করিতে কহিলেন *নাথের দোকানে পুস্তক খরিদ হইল—এখন প্রেয়ীর দোকানের কিছু কেন ; নইলে দুঃখিত হবেন। নামটা কি পদ্মচন্দ্ৰ নাথ ?” উপ। বরুণ-কাকা । এই বৈওয়ালারা সকলেই কি নাথ ? এই সময় একজন প্রাচীন মুসলমান, পিঠে একটা বোচকা—হাতে দুই তিনট টুপী, দেবগণের নিকট আসিয়া কহিল “বাৰু! টুপী নেবেন ?” দেবতার। এখান হইতে বাসাভিমুথে চলিলেন। যাইতে যাইতে দেখেন— এক ব্যক্তি জলের কলের নিকট দাড়াইয়া ঘন ঘন নাড়া দিতেছে । পিতামহ কহিলেন, “দড়িয়ে কে যম ! তুমি সেই পৰ্য্যন্ত কলিকাতায় আছ ?” যম তৎশ্রবণে নিকটে আসিয়া প্রণাম পুৰ্ব্বক বিনীতভাবে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।