পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৬৪

৫৬২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন যম। ঠাকুরদা ! আমার প্রতি আমন চোটে উঠলেন কেন ? ব্ৰহ্মা। যাও যাও, তোমার সহিত আর কথা কহিতে ইচ্ছা করি না ; একানে পেলেই নেন, উঃ! কি পাপী ! যম। আপনি রাগ করচেন কেন ? ভেবে দেখুন, অসম্পূর্ণ দ্রব্য থাকিতে সহজে কেহ সম্পূর্ণ দ্রব্যে হাত দেয় না। আপনিই বলুন দেখি, আপনার গৃহে যদি একট পূর্ণ কলস এবং একটা অৰ্দ্ধ কলস স্কৃত থাকে এবং ঠানদিদির কিছু ঘূতের আবশুক হয়, তিনি কোন কলসের স্বত আগে লন । ব্ৰহ্মা। যেটাতে অৰ্দ্ধেক থাকে। যম। পূর্ণ কলস হইতে ঘৃত লন না কেন ? ব্ৰহ্মা। অৰ্দ্ধ কলস থাকিতে কে কোথায় পূর্ণ কলসে হাত দেয় ? যম। তবে ঠাকুরদা। আমার অপরাধ কি ? আমি খুচরা থাকিতে একটা পূর্ণ কলসে কেন হাত দেব ? ব্ৰহ্মা। যমের দেখুচি ধৰ্ম্মে বেশ জ্ঞান আছে। যা হউক ভাই—ধৰ্ম্ম ভেবে কাজ করিস। লোকে যেন ‘ওরে বিধি তোর মনে এই ছিল” বলিয়া কপাল ন চাপড়ায় বা আমাকে গা’ল না দেয়। যম । এক্ষণে আমি বিদায় হই । আমাকে একবার সন্ধ্যার সময় আলিপুরের জেল দেখে আসতে হবে। ইন্দ্র । দিনে বুঝি সাহস হয় না ? যম । ভাই ! যে খাবার বনোবস্ত, দেখলে মূৰ্ছা হয়। সেই জন্য অন্ধকারে যাব ভাবুচি । যম চলিয়া যাইলে দেবগণও বাসাভিমুখে চলিলেন । র্তাহারা যাইতে যাইতে দেখেন—বাসার অতি সন্নিকটে একটা বারোয়ারী-তলায় কথকতা হইতেছে। কখকের বক্তৃতায় শ্রোতৃবর্গ কখন হালিতেছেন, কখন কঁাদিতেছেন। দেবতারা দাড়াইয়া অনেকক্ষণ কথকতা শুনিলেন।