কলিকাতা cఅరి পিতামহ কথকতা শুনিয়া বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়া কছিলেন “বরুণ ! এই কথকটা কে ?” বরুণ। ইনি স্ববিখ্যাত কথক ৮ ধরণীধর তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের একজন শিক্ষিত ছাত্র । ব্ৰহ্মা। ধরণীধর তর্কচূড়ামণির বিষয় আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ। ইহঁার নিবাস জেলা চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত খাটুবা গোবরডাঙ্গায়। ইনি রামধন তর্কবাগীশের ভ্রাতু পুত্র এবং ঐশ বিদ্যারত্বের খুল্ল তাতের পুত্র। ইনি আনুমানিক ৬৬৬৭ বৎসর বয়সে ১৭৯৬ শকে জরবিকারে প্রাণ ত্যাগ করেন । ইহার সংস্কৃত বিদ্যায় বিলক্ষণ পারদর্শিত। ছিল । চূড়ামণি শুামবর্ণের বড় সুন্দর পুরুষ ছিলেন। দেহ স্থল ছিল, ঠিক মহাদেবের মত। কথিত আছে, যৌবনে চরিত্র বড় ভাল ছিল না । ইনি জ্যেষ্ঠতাত রামধন তর্কবাগীশের নিকট কথকতা শিক্ষা করেন ও অদ্বিতীয় কথক হইয় উঠেন। কথকতা দ্বারা ইনি বেশ সঙ্গতি করিয়া গিয়াছেন। ইহঁার এক পুত্র ও একটি কন্যা আছে। ইনি দুই তিন জনকে কথকতা শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন । তাহারাও এক্ষণে কলিকাতা ও অন্তান্ত স্থানে কথকতা করিয়া বেশ পশার করিয়াছেন। সেই শিক্ষিত ছাত্রদিগের মধ্যে এই কথক একজন । এই সময় “বরফ বরফ” শব্যে রাস্তায় হাকিতে হাকিতে একজন লোক যাইল । এখান হইতে সকলে বাসায় যাইয় হস্তপদ প্রক্ষালন করিলেন । দেবরাজ ও নারায়ণ তাড়াতাড়ি সন্ধ্য আহ্নিক সারিয়া চুল কাল হইবার ঔষধের শিশি খুলিয়া মস্তকে দিতে বসিলেন । ঔষধ দেবার ১০১৫ মিনিট পরে তাহদের শিরঃপীড়া আরম্ভ হইল। তখন তাহার “বাপুরে প্রাণ গেল।” বলিয়৷ চীৎকার আরম্ভ করিলেন । পিতামহ ও বরুণ অপর গৃহে ছিলেন, তাহাদের কাতরোক্তিতে “কি ! কি ” শব্দে চুটিয়৷ আসিলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! চুল কালর কি ছাই ঔষধ কিনে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।