কলি কাতা Qや? পিতামহকে বুঝাইতে অনেক রজনী হইল, তখন দেবগণ নিদ্রাভিভূত হইলেন । প্রাতে যেমন তোপ পড়িয়াছে, পিতামত “উপ ! ওঠ, গঙ্গাস্নানে যাই” বলিয়া, চাহিয়া দেখেন—দেবরাজ ও নারায়ণ তৎপূৰ্ব্বে উঠিয়, আয়না ধরিয়া মুখ দেখিতেছেন এবং পরস্পরে কহিতেছেন, “ভাই, চুলগুলি ত বেশ কাল হ’য়েছে—এখন থাকৃলে বাচি !” পিতামহ কহিলেন, “আর কি! দুঃখ ঘুচিল—এক্ষণে চল গঙ্গাস্নানে যাই।” নারায়ণ কহিলেন, “জলে ধুয়ে যাবে না ত ?” ব্ৰহ্ম । জলে ধুয়ে যাবে বলে কি স্নান পরিত্যাগ ক’বৃবি ? চল গঙ্গামানে যাই । পদ্মযোনি সকলকে সঙ্গে করিয়া গঙ্গাস্নানে চলিলেন এবং বীর মল্লিকের ঘাটে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । তিনি “গঙ্গে গঙ্গে” শব্দে চীৎকার করিয়া কহিলেন “কেমন আছ মা ?” গঙ্গা । সেই একই অবস্থা। বাবা! আর যে দিন যায় না! ব্ৰহ্মা । যাবে বৈকি, চিরদিন কি কাহারও সমান যায় মা ? দেখ বরুণ, আমরা যেমন মর্ত্যে আসিয়া লোকের পাপকৰ্ম্ম দেখিয়া পাপে নিমগ্ন হইতেছি, তেমনি গঙ্গাস্নানরূপ তাহার অমোঘ ঔষধও রহিয়াছে। বরুণ, তুমি বোধ হয় গঙ্গার মাহাত্ম্য জান না ?—এই গঙ্গাতীরে যে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করে, তাহার অক্ষয় পুণ্য সঞ্চয় হয়। যে ব্যক্তি ভক্তির সহিত এই জল গ্রহণ না করে, তাহার কোট কোটী পুণ্যরাশি নষ্ট হইয়া থাকে এবং যে ব্যক্তি গঙ্গাস্নান করিতে যাইতেছে, তাহাকে নিষেধ করিলে শত জন্ম ঘোর নরকে বাস করিতে হয় । গঙ্গা । দেখ বাবা, আজ কাল অনেকে স্নান করিতে আসিয়া জলে নামিবার উদ্যোগ করিতেছে, এমন সময়ে আর কতকগুলো লোক ছুটয়৷ আসিয় তাহাকে নিষেধ করিয়া বলে, ওরে নামিসনে । বড় হাঙ্গরের ভয়, চল আমরা হেদোয় গিয়ে স্নান করি।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।