দিল্লী 있 ইহাকে পুরাতন কেল্লা বাঁ ইন্দ্রপত কহে। ঐ কেল্লার চারিদিকে গড় আছে। উঠা যমুনার সহিত সংলগ্ন। এবং ইহার চারিটি তোরণ বা গেট আছে। এই স্থানে হুমায়ুন বাদস অশ্ব হইতে পতিত হইয়া প্রাণত্যাগ করেন। ইন্দ্র। হুমায়ুন বাদস কে ? * বরুণ। ইনি একজন বিখ্যাত বাদলা ছিলেন। ছেলে মেয়ে অত্যন্ত দোরাত্ম্য করিলে অষ্ঠাপি বঙ্গবাসীরা, “ঐ হুমে আসছে” বলিয়, তাহদিগকে ভয় দেখায়। o - নারা । এ নগরের নাম দিল্লী হইল কেন ? 齡 বরুণ। অনেকে বলে—ডিলু রাজার নাম অনুসারে ইহার নাম । দিল্লী হইয়াছে। এখানে একটি লোহার পিলপের উপর লেখা ছিল— ১৪ শতাব্দীতে এই নগর সংস্থাপিত হয়। ঐ অক্ষর সংস্কৃত, এজন্ত ইহা যে হিন্দু রাজার নিৰ্ম্মিত ইহাতে সন্দেহ নাই। ব্রহ্ম , লোহার পিলুপে ? বরুণ। অজ্ঞে হ্যা, কেহ কেহ ঐ পিল্পেকে ভীমের হাতের ছড়ি বুলে। কেহ বলে, ইহা বাস্তুকির মস্তকের নিকট পর্যন্ত পোত আছে। . ফলতঃ ইঙ্গর গায়ের লেখা পড়িতে পারা যায় না, এজন্ত ইহা যে কি তাহা স্থির হয় নাই । ইঙ্গার পর দেবগণ লালকোট দর্শন করিতে চলিলেন । তথায় উপস্থিত হইয়। ইন্দ্র কহিলেন, “ইহারই নাম কি লালকোট ?” বরুণ। হ্যা ভাই—ইহা দ্বিতীয় অনঙ্গপাল নিৰ্ম্মাণ করেন। ইহার পরিধি আড়াই মাইল। প্রাচীর ৬০ ফিট উচ্চ এবং চতুর্দিক গড়-বেষ্টিত ছিল। এক্ষণে তিন দিকের গড় বর্তমান আছে, দক্ষিণ দিকৃটে বুজে গিয়েছে। ইহার অনেকগুলি গেট আছে ; তন্মধ্যে পশ্চিম দিকের গেটকে রণজিৎ গেট কহে। এই বলিয়া সকলে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । ব্ৰহ্মা। ঐ যে বৃহৎ দীঘি দেখা যাচ্ছে, উহার নাম কি ? বরুণ । উহার নাম “অনঙ্গপাল দীঘি” । ইহা ১৬৯ ফিট লম্বী এবং
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।