কলিকাতা (tVసి “যে দেশে রেলওয়ে নাই, সে দেশ দেশই নয়।” অনেকে চাকরীর উপরোধে গঙ্গাগৰ্ভ ছাড়িয়া, যে দেশে রেলওয়ে আছে, তথায় আসিয়া বাস করিতেছেন । গঙ্গা । বাবা ! আমার এত মাহাত্ম্য, আমার প্রতি লোকের যত শ্রদ্ধা ভক্তি শুনলে ত ? ব্ৰহ্মা। মা ! লোকের যদি শ্রদ্ধা ও ভক্তি থাকিবে, তুমিই বা মৰ্ত্তা হইতে যাইবে কেন ? আমিই বা তোমাকে লইয়া যাইবার জন্ত এত আগ্রহ প্রকাশ করিব কেন ? যখন লোকের শ্রদ্ধা ও ভক্তি ছিল, তখন ত তুমি ভগীরথের স্তবে তুষ্ট হইয়াই আসিয়াছিলে ; এখন শ্রদ্ধা ভক্তি গিয়াছে, তুমিও দুই চারি বৎসর থাকিয়া স্বর্গে চল । আমরা এক্ষণে বিদায় হই। গঙ্গা । কি ক’রে থাকৃতে বলি ? অধিকক্ষণ জলে থাকৃলে পাছে সদি কাসি হয় । তীরে উঠিয়া পিতামুহ কহিলেন, “বা! ঘাটটি ত বড় সুন্দর। এ ঘাটটি কাহার বরুণ ?” . - বরুণ । কলিকাতার বীরু মল্লিক নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তির । তিনি প্রচুর অর্থব্যয়ে এই ঘাট মুন্দররাপে বাধাইয়া দিয়াছেন। এই সময়ে উপ চীৎকার করিয়া কহিল “বাঃ—আমার রেপার নিয়ে গেল কে ? বাহব ! আমার রেপার নিয়ে গেল কে ?” বরুণ। বেশ হ’য়েছে তোকে আমি দশ দিন ব’লেছি, ঘাটে বড় জুয়াচোরের ভয়, উড়েদের কাছে রাখিস । উপ। ও বেটার যে পয়সা লয় । ব্ৰহ্মা । যা হয়েচে হ’য়েচে ; এখন বাসায় আয় । উপ। আপনারা যান, আমি রেপার আদায় ক’রে বাসায় যাব । নারা । তুই আয়, তারা বাসায় গিয়ে দিয়ে আসবে। উপ । আপনারা যান, আমি আদায় করতে পারি কি না দেখি।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।