Փ ԳԵ- দেবগণের মর্ত্যে আগমন অর্থাৎ খাজনাখানা । কলিকাতার এলেকাধীন যাবতীয় স্থানের কর আদায় হইয়া এই স্থানে আমদানি হয়। এখানে একজন কালেক্টার ও তাহার অধিনে কতকগুলি আমলা আছে। ওদিকে দেখা যাইতেছে, গবর্ণমেণ্টের ষ্টেশনারি আফিস । ভারতবর্ষীয় গবর্ণমেণ্টের যত আফিস আদালত আছে, তাহাতে যত কাগজ কলম প্রভৃতির আবশুক হয়, এই আফিস হইতে প্রদত্ত হইয়া থাকে” । এই সময়ে দেবগণ দেখেন ২৫/৩০ জন লোক র্তাহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া উদ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া আসিতেছে । র্তাহাদের গাত্রে চাপকান, মাথায় পাগড়ী, কানে একটা একট লম্বা কলম। তাহাদিগকে দেখিয়া উপ কহিল, “কৰ্ত্তা-জেঠা ! পলাই চল । ঐ লোকগুলো আমাদিগকে ধ’তে আসছে।” ব্ৰহ্মা। সত্য বরুণ! উহারা আমাদের দিকে ছুটিয়া আসিতেছে কেন ? আহা! একটা স্থূলকায় লোক ছুটিতে না পারায় হঁপিাচ্চে দেখ। বলিতে না বলিতে লোকগুলি ছুটিয়া আসিয়া পিতামহের হাত ধরিয়া স্থাপাইতে লাগিল। পিতামহ ভীত হইয়া যত কহেন, হাত ছাড়, আমরা কি করিয়াছি ? তাহারা ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলিয়া “বলি” বলিয়া হাপাইতে লাগিল। পিতামহ কহিলেন, “আর বলিতে হইবে না—হাত ছেড়ে দেও, আমরা কলিকাতা আসিয়া কাহারও পাতখানি কেটে ভাত খাইনি।” . আগন্তুক ব্যক্তি কিঞ্চিৎ কাল বিশ্রাম করিয়া কহিল “আমি আগে এসে হাত ধীরেছি, আমাকে মোক্তার নিযুক্ত করুন।” অপর কহিল “আমার সহিত ভাল ভাল উকীলের আলাপ আছে, আমাকে মোক্তারি দেন, জয়লাভ করিতে পারিবেন।” আর একজন কহিল “উকীলদিগের মধ্যে আমার আপনার লোক অনেক আছে ; আমাকে মোক্তারি দেন—খুব কম খরচে ভাল কাজ পাবেন ।* ব্ৰহ্মা। বাবা, আমাদের সাতপুরুষে কখন মামল মকদ্দমা করে নাই
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।