Gb- о দেবগণের মর্ত্যে আগমন বিলক্ষণ লাভ ছিল। তখন যে সে ইচ্ছা করিলে মোক্তারি করিতে পারিত ; কিন্তু ক্রমে ক্রমে মোক্তারের সংখ্যা এত বৃদ্ধি হইতে লাগিল যে, গবর্ণমেন্ট মোক্তারি পরীক্ষার স্বষ্টি করিতে বাধ্য হইলেন । মোক্তারি পরীক্ষার স্বষ্টি হইয়া এক দিকে মোক্তারের সংখ্যা হ্রাস হইতে লাগিল অপরদিকে তেমনি ডেপুটি মোক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়া উঠিল। কতকগুলি নিরক্ষর লোক মোক্তারদিগের সহিত পরামর্শ করিয়া ডেপুটী মোক্তারি করিতে আরম্ভ করিল। ইহাদের কাজ ছুটাছুটি করিয়া লোক ধরিয়া আনিয়া দিবে, মোক্তার বা উকীল আসামী অথবা ফরিয়াদীর নিকট হইতে যে টাকা পাইবেন, তাহা হইতে কিছু কিছু অংশ দিবেন নিম্ন আদালতে ডেপুটী মোক্তারের সংখ্যা অধিক। ইহাদের মধ্যে অনেকেই পাচক ব্রাহ্মণের কাজ করে এবং দশটার সময় তালি লাগান চাপূকান গায়ে দিয়া পাগড়ী বাধিয়া আদালতের নিকট উপস্থিত হয়। চাষাভূষার মকদ্দমাই ইহাদের অধিক জুটে। ইহার মকদ্দমায় জয়লাভ করিলে চাষী-মক্কেলের গাত্রের চাদরখানা বকৃসিসরূপে লইবারও যথেষ্ট প্রয়াস পায়। এই অবতারদিগের গুণে নবদ্বীপ হইতে কৃষ্ণনগরের পথে, চুচুড়া হইতে হুগলীর দিকে বৰ্দ্ধমানের ষ্টেসন হইতে সহরাভিমুখে পথিকদিগের গমনাগমন করা ভার হইয়াছে। ইহারা ঐ সমস্ত রাস্তার দুই ধারে দলে দলে বসিয়া থাকে এবং পথিকদিগকে ধরিয়া টানাটানি করে। সময়ে সময়ে দুই চারি পয়সা দিলে ইহারা মিথ্যা সাক্ষ্য পৰ্য্যন্ত দেয়। নারা । মিথ্য সাক্ষ্য দিলে জেরার মুখে ধরা পড়ে না ? এদের বাড়ী কোথায় আর আসামী ফরিয়াদির বাড়ী কোথায় ! ইহাদের সাক্ষ্য কি ব’লে গ্রাহ হয় ? বরুণ। ইহার হাকিমকে বলে, আমার বাড়ী কি শ্বশুরবাড়ী যাইবার পথে আসামীর বাড়ী। আমি যে দিন আমার বাড়ী যাচ্ছিলাম, দেখি উহাদের ঐরুপ মারপিট হইতেছে। একবার একজন কালা নবদ্বীপ হইতে কৃষ্ণনগরে আসিতেছিল, পথিমধ্যে ডেপুটী মোক্তারেরা বলে “তোমার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।