কলিকাতা (?brసిఫా নারা। বরুণ ! ছেলেগুলোর মস্তকে স্ত্রীলোকদিগের স্তায় সোজা সিতি এবং পরিধানে শাড়ী কেন ? বরুণ। উহাও একটা ফ্যাসান । ব্ৰহ্মা। না বরুণ, এইবার তোমার ভূল হ’য়েছে। বরুণ । কেন ? f ব্ৰহ্ম । যখন কলি আমার আজ্ঞায় পৃথিবীতে আগমন করে, তখন জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “পিতামহ ! আমি মর্তে যাইয়া কোন সময় কিরূপ বেশে অবস্থিতি করিব ?” আমি তদুত্তরে বলিয়াছিলাম—কলি ! তুমি পৃথিবীতে যাইয়া প্রথম, মধ্যম ও শেষ এই তিন অবস্থাতে বাস করিবে। তোমার প্রথম অবস্থায় লোকের ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে অনেকটা মতি থাকিবে এবং পাপপুণ্যের ভয় করিবে । এই সময় জাতিভেদ দেশমধ্যে প্রচলিত থাকিবে এবং স্ত্রীলোকেরা পতিভক্তি করিবে। লোকে শত বৎসর জীবিত থাকিবে । মধ্য অবস্থায় জাতিভেদ বড় একটা থাকিবে না এবং লোকে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম মানিবে না । এই সময় পুরুষে স্ত্রীর পরিচ্ছদ এবং স্ত্রীলোকে পুরুষের পরিচ্ছদ পরিধান করিতে আরম্ভ করিবে, অর্থাৎ পুরুষে স্ত্রীলোকের ন্তায় পাড়ওয়াল বস্ত্র পরিয়া মস্তকের মধ্যস্থলে সিতি কাটিবে এবং স্ত্রীর আজ্ঞ ব্যতীত কোন কাজ করিবে না, সকল কাজেই স্ত্রীর অনুমতি লইবে এবং কথায় কথায় কহিবে “কেমনগো—এ কাজ কি করা যায় ? ও কাজ করিলে কি কোন দোষ আছে ?” এই সময় তাহারা স্ত্রীর অঞ্চল ধরিয়া যশোদার গোপালের দ্যায় নেচেখেলে বেড়াবে এবং অন্ধকারে গৃহের বাহির হইতে স্ত্রীর সাহায্য লইবে। দেবতারা বাহিরে আসিয়া দেখেন—অসংখ্য চস্মার দোকান রহিয়াছে । নারায়ণ চস্মার দর জিজ্ঞাসা করিলেন তাহারা কহিল, “এ সকল আপনদিগের ব্যবহারোপযোগী নহে—স্কুলের সৌখীন ছেলেদের জন্তই আনা হইয়াছে।” দেবরাজ এই সময় উপরদিকে চাহিয়া কহিলেন “বাঃ ! বিদ্যালয়গৃহের উপরে গম্বুজের মধ্যে একটা সুন্দর বৃহদাকার ঘড়ি রহিয়াছে দেখ!”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।