কলিকাতা (?హి) বরুণ । ডেভিড হেয়ারের পিতা লণ্ডনে ঘড়ি প্রস্তুত ও মেরামত করিতেন। স্কটলণ্ডের অন্তঃপাতী এবার্ডিন নগরে ১৭৭৫ খৃঃ অব্দে ডেবিড হেয়ারের জন্ম হয় । ইনি পচিশ বৎসর বয়ঃক্রমকালে কলিকাতায় আসেন এবং কিছুকাল ঘড়ির কাজ করিয়া অর্থ সঞ্চয়পূর্বক তাহার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু গ্রে সাহেবকে আপনার কার্য্যভার সমর্পণ করেন । তিনি এখানে কেবল অর্থ উপাঞ্জনের মানসে আসেন নাই ; এ দেশের অধিবাসীদিগকে আপনার ভ্রাতার দ্যায় দেখিতে লাগিলেন এবং তাহাদের উপকারের জন্য যথাশক্তি পরিশ্রম ও যত্ন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। হেয়ার সাহেব সন্ত্রান্ত হিন্দুদিগের বাটিতে যাইতেন এবং যাহাতে পরস্পরের মধ্যে একতা ও সৌহার্দ জন্মে এবং উভয় সম্প্রদায় যাহাতে পরস্পরকে ভ্রাতৃভাবে আলিঙ্গন করে, ইহা তাহার একান্ত ইচ্ছা ছিল । এই সময়ে কলিকাতায় ইংরাজী অথবা বাঙ্গালা পাঠশালা ছিল না। ছাত্রেরা -সামাগুরূপ লেখা পড়া অভ্যাস করিয়াই শিক্ষা সমাপ্ত করিত । পাঠোপযোগী ভাল বাঙ্গাল গ্রন্থও ছিল না। কি সে এদেশের লোক উচ্চতর শিক্ষা পাইয়া বহুদৰ্শী ও বহুগুণান্বিত হইয় উঠে ইহাই তাহার চিন্তার বিষয় হইল। সে সময়ে রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর, রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় কলিকাতার মধ্যে বিজ্ঞ সম্রাস্ত লোক বলিয়া পরিচিত ছিলেন। হেয়ার সাহেব ইহঁাদের সহিত এ বিষয়ে পরামর্শ করেন । প্রধান বিচারপতি সার হাইড ইষ্ট সাহেবের এ দেশের প্রতি বিশেষ যত্ন ছিল ; হেয়ার সাহেব তাহার নিকট যাইয়াও একটি প্রধান বিদ্যালয় স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে আমাদের দেশের লোকের কিরূপ মত জানিবার জন্ত প্রধান বিচারপতি বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়কে সকলের নিকট পাঠাইয়া দেন। বৈদ্যনাথ সমাজের সমস্ত সম্রাস্ত ব্যক্তির নিকট এ বিষয়ের প্রস্তাব করিলে, সকলেই তাহাতে আহলাদ সহকারে সন্মতি প্রকাশ করেন। বৈদ্যনাথ প্রধান বিচারপতির নিকট যাইয়া সকলের সন্মতি জানাইলে একটা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।