\ව් ෆ দেবগণের মর্ত্যে আগমন একটি করিয়া দিতে বলে। অৰ্দ্ধেক আন্দাজ প্রস্তুত হইলে মুসলমানেরী: নগর আক্রমণ করে, সুতরাং অসমাপ্ত রহিয়া যায়। ইজ। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঐ কুপ এবং কবর কাহার ? আর ঐ ধ্বংসাবশেষ জমীই বা কি ? বরুণ। কুপটি দ্বিতীয় অনঙ্গপালের, এবং কবরটি আদম থা নামক এক ব্যক্তির। এই স্থানে হুমায়ুন বাদসারও কবর আছে । পরে দেবগণ যাইতে যাইতে এক স্থানে দেখেন, একটি অন্ধকার গৃহে হনুমানের প্রতিমূৰ্ত্তি রহিয়াছে ; তদর্শনে বরুণ হান্ত করিয়া কহিলেন—“হয়, তুমি লঙ্কার দুৰ্জয় সমরে জয়লাভ করিয়াছ এবং পৃষ্ঠদেশে গন্ধমাদন পৰ্ব্বতও বহন করিয়াছ, কিন্তু আজ দিল্লীতে অন্ধকার ঘরে বসে কেন ?” বলিয়া সকলে অগ্রসর হইলেন। ইন্দ্র। বরুণ, সন্মুখে যাহা দেখা যাইতেছে উহা কি ? বরুণ। “উহার নাম জাহানপান্না । এখানে ৫২টি গেট আছে, এবং সাতটি কেল্লা আছে, এজন্ত ইহাকে ‘সাত কেল্লা " দেওয়ান দরজা’ কহে। এবং ইহারই নাম অনুসারে লোকে অদ্যাপি কহে “দিল্লী সাত কেল্লা সহর।” বলিয়া, যাইতে যাইতে কহিলেন “এই যে কবর দেখিতেছেন, ইহা রাজপুত্রী জাহানারার। ইনি সম্রাটু সাজাহানের কক্স, পিতার কারাবাস-সময়ে সেবা করিবার জন্য ইনিও কারারুদ্ধ হন । ইহার নাম দিল্লীতে আদরণীয় ” . দেবগণ একটি বৃহৎ কুপের নিকট উপস্থিত হইলে ব্রহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! এ কুপটা কি ?” বরুণ। ইহাকে লোকে “নিজাম উদ্দীনের কৃপা কহে। প্রতি বৎসর এখানে একটি বিখ্যাত মেলা হয়, সেই সময় যাত্রীরা আসিয়া স্নান করে । , ওদিকে দেখুন ফিরোজাবাদ সহর, উহা ফিরোজ শাহের কৃত। ঐ স্থানে ২৪টি রাজবাটী, ১৯টি মনুমেণ্ট, পাচটি কবর, তদ্ভিন্ন কালেজ, হাসপাতাল
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।