(tఫి 8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন প্রস্তাবিত সভার তত্ত্বাবধানে কলিকাতার স্থানে স্থানে কয়েকটি পাঠশালী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সকল পাঠশালার মধ্যে আরপুলি লেনের পাঠশালায় এ দেশের বিখ্যাত জীযুক্ত কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাঙ্গালী শিক্ষা করেন। পূৰ্ব্বোক্ত স্কুল সোসাইটির যত্নে এই শেষোক্ত পাঠশালার নিকট এবং পটোলডাঙ্গায় দুটি ইংরাজী বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। তাহাদের মধ্যে একটি হেয়ার স্কুল। যে সকল ছাত্র পাঠশালায় থাকিয়া ব্যুৎপত্তিলাভ করিত তাহারা ইংরাজী বিদ্যালয়ে প্রবেশ পূৰ্ব্বক উচ্চতর শিক্ষায় অভিনিবিষ্ট হইত। হেয়ার সাহেব যথাসময়ে এই সকল বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধান করিতেন । যাহাতে এদেশের লোকের বাঙ্গালী ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি হয় এবং বাঙ্গালা ভাষা যাহাতে সম্মাজ্জিত হইয়া উঠে, হেয়ার সাহেবের সে বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ ও যত্ব ছিল । সমস্ত কলিকাতা চারিখণ্ডে বিভাগ করা: হইয়াছিল ; এক একজন প্রতিখণ্ডের পাঠশালাগুলির তত্ত্বাবধান করিতেন চারি জন পরিদর্শকের মধ্যে বাবু দুর্গাচরণদত্ত ৩-টি পাঠশালার তত্ত্বাবধানের ভার গ্রহণ করেন। এই সকল পাঠশালায় প্রায় ৯•• ছাত্র পড়িত। বাৰু রামচন্দ্র ঘোষকে ৪৩টি স্কুল দেওয়া হয়, ইহাতে ৮৯৬ জন শিক্ষার্থী ছিল । বাবু উমানন্দ ঠাকুর ৩৬টি পাঠশাল গ্রহণ করেন, ইহাতে প্রায় ৬০০ ছাত্র ছিল । ৫৭টি পাঠশালার পরিদর্শনের ভার রাজা রাধাকান্ত দেবের হস্তে সমৰ্পিত হয়, ইহাতে ১,১৩৬ জন ছাত্র বিদ্যাভ্যাস করিত। ১৮৩০ খৃঃ অব্দে হিন্দু স্কুল ও অন্তান্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা সমবেত হইয়া হেয়ার সাহেবকে একখানি অভিনন্দন পত্র সমর্পণ করেন। কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণারঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায় ও হরচন্দ্র ঘোষ প্রভৃতির যত্নে এই কাৰ্য্য সম্পন্ন হয়। বাঙ্গালীগণ যাহাতে ব্যবসায় অবলম্বন পূর্বক স্বাধীনভাৰে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতে পারে তাহার জন্ত কোনরূপ শিক্ষালয় স্থাপন করিবার জন্ত এক্ষণে বিশেষ আগ্ৰহান্বিত হইলেন । এই সময়ে লর্ড উইলিয়ম বেটিঙ্ক ভারতবর্ষের শাসনকর্তা ছিলেন। হেয়ার সাহেব প্রায়ই
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।