পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tఫిS) দেবগণের মর্ত্যে আগমন ডেবিড হেয়ার স্বদেশীয় ও বিদেশীয় সকলের শ্রদ্ধাস্পদ হইয়াছিলেন। এই সময়ে আমাদের সমাজে স্ত্রী-শিক্ষার উন্নতির জঙ্গ বিশেষ যত্ন হইতে থাকে। বাঙ্গালী ও ইংরেজ এ উদ্দেশু সাধনার্থ একত্র সম্মিলিত হন। ১৮২০ খৃঃ অব্দের পূৰ্ব্বে কলিকাতায় জুবিনাইল সোসাইটি নামে একটি সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সভা স্ত্রী-শিক্ষার ভার গ্রহণ পূর্বক কলিকাতার শুামবাজার, জানবাজার ও ইটিলিতে এক একটি বালিক। বিদ্যালয় স্থাপন করেন । রাজা রাধাকান্ত দেব স্ত্রী-শিক্ষার একজন প্রধান উৎসাহ দাতা ছিলেন । তিনি এই সময়ে স্ত্রী-শিক্ষা-বিধায়ক নামে একখানি পুস্তক রচনা করিস্থ, উক্ত সভায় দান করেন। এই পুস্তকে প্রদর্শিত হয় যে, নারীজাতিকে শিক্ষা দেওয়া উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুদিগের চিরন্তন ধৰ্ম্ম। প্রাচীন সময়ে অনেক নারী মুশিক্ষিত ছিলেন । এক্ষণে স্ত্রী-শিক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিলে আমাদের দেশের বিস্তর মঙ্গল হইবে । সভা এই পুস্তক মুদ্রিত করিবার সঙ্কল্প করেন । সভার স্ত্রীশিক্ষার উন্নতির চেষ্টা নিষ্ফল হয় নাই ; ক্রমে এ বিষয়ের উৎকর্ষ হইতে থাকে। হেয়ার সাহেব নিয়মিতরূপে অর্থ দিয়া সভার সাহায্য করিতেন । বালকদিগের শিক্ষাকার্য্যের দ্যায় বালিকাদিগের শিক্ষা-কার্য্যের প্রতিও তাহার বিশেষ যত্ব ছিল । প্রসিদ্ধ মিশনরী কেরি ও মার্শমান সাহেব একটা সভা স্থাপনপূর্বক বাঙ্গালা ভাষার উন্নতির নিমিত্ত অনেক চেষ্টা করেন। ডেবিড হেয়ার এই সভায় নিয়মিতরূপে চাদ দিতেন । যাহাতে সাধারণে স্বাধীনভাবে সংবাদপত্রে লিখিতে পারে, তজ্জন্ত তিনি অনেক চেষ্টা করেন। কুলিদিগকে তাহাদের অসন্মতিতেও দুর দেশে পাঠান হইত। এইরূপ অনেকগুলি কুলীকে মরিস দ্বীপে পাঠাইবার জন্ত কলিকাতায় আবদ্ধ রাখা হইয়াছিল; হেয়ার সাহেব, এই বিষয় অবগত হইয়া পুলিসের সাহায্যে তাহাদিগকে বিমুক্ত করেন।