কলিকাতা Qふし● হেয়ার প্রতিদিন রেল দশটার সময় পান্ধিতে স্কুল ও কলেজ দেখিতে আসিতেন। তাহার পাৰুিতে একটি ক্ষুদ্র ঔষধালয় ছিল ; ইহাতে সমুদয় প্রয়োজনীয় ঔষধ সজ্জিত থাকিত। তিনি স্কুলে আসিয়া প্রথমে উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বইখানি দেখিতেন। যে যে বালক অনুপস্থিত থাকিত, অবিলম্বে তাহাদের অনুসন্ধানে বহির্গত হইতেন, কেহ বাড়ীতে পীড়িত থাকিলে, যথাযোগ্য ঔষধ দিয়া তাহার শুশ্ৰুষা করিতেন । যে সকল বালক অর্থাভাবে পড়িতে পারিত না, তিনি তাহাদিগকে অর্থ দিয়া সাহায্য করিতেন। যাহারা গ্রাসচ্ছাদনের সংস্থানে অসমর্থ, তাহাদিগকে অন্ন বস্ত্র দিয়া বিদ্যাভ্যাস করাইতেন। পটোলডাঙ্গায় স্কুল সোসাইটর স্কুলের ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকাদির ব্যয় তিনি আপন হইতে দিতেন। যাহারা সুশিক্ষিত হইয়া বিদ্যালয় হুইতে বাহির হইত, তিনি তাহাদিগকে কৰ্ম্ম দিয়া সংসারী করিয়া তুলিতেন । ১৮৪২ অব্দের ৩১শে মে রাত্রিতে ইহঁার ওলাউঠ রোগে মৃত্যু হয় । * 隱 হেয়ারের মৃত্যু-সংবাদে সকলে গ্রে সাহেবের বাটতে আসিতে লাগিলেন। সকলের মুখই বিবর্ণ, ক্রমে সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের সমাগম হইল। ডেবিড হেয়ারের দেহ স্বাভাবিক বেশে সজ্জিত হইয়া শবাধারে স্থাপিত ছিল । এই দিন আকাশমণ্ডল ঘোরতর মেঘে আচ্ছন্ন ছিল, অবিশ্রাত্ত বৃষ্টি হইতেছিল ; তথাপি সাধারণে র্তাহার শবের অনুগমন করিতে কিছুমাত্র কাতর হইল না। ১লা জুন সন্ধ্যার প্রাক্কালে হেয়ারের দেহ যথানিয়মে হিন্দুকলেজের সম্মুখে সমাহিত হইল। বিদ্যালয়ের ছাত্রের প্রত্যেকে এক একটা টাকা চাদ দিয়া, র্তাহার সমাধির উপর একটি সুদৃপ্ত স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া দিল। এই টাকা এত অধিক হইয়াছিল যে, শেষে কতক চাদ আদায় করা আবশুক হইল না। বাঙ্গালা দেশের কৃতবিদ্যগণ ডেবিড হেয়ারের স্মরণার্থ অর্থ সংগ্ৰহ পুৰ্ব্বক তাহার একটি প্রস্তরময়ী প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন। ঐ দেখুন, সেই প্রতিমূৰ্ত্তি হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের মধ্যভাগে অবস্থিত রহিয়াছে।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।