পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@、b- দেবগণের মর্ত্যে আগমন এই সময়ে একটি মুন্দর ছেলে বাহিরে আসিল। ছেলেটার বয়স অতি অল্প; কিন্তু এমন ফিটফাট বাবু সাজিয়াছে, এমন কেতা-সই চুল ফিরাইয়াছে এবং এমন ভঙ্গীর সহিত কালাপেড়ে কোচান ধুতির কোচা বাম হস্তে ধরিয়া আছে, ষে দেবগণ অবাক হইয়া দেখিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন “বাৰু। কোন ক্লাশে পড়?” বালক হলিল, “বাবুজ ক্লাশে পড়ি বলিয়, হাস্ত করিয়া চলিয়া যাইল । ইন্দ্র। বাবুজ ক্লাশ কি বরুণ ? বরুণ । অধিকাংশ বিদ্যালয়ের এক একটা ক্লাশ বা শ্রেণীতে মধ্যে মধ্যে এত বালক হয় যে, একজন শিক্ষক পড়াইয়া উঠিতে পারেন না, সুতরাং স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র শিক্ষক নিযুক্ত করিয়া ঐ শ্রেণীকে দুই খণ্ডে বিভক্ত কব্লিয়া ফেলা হয়। তাহার নাম হয় প্রথম ও দ্বিতীয় (সেক্সন) বিভাগ। ঐ সময় ভাল ছেলেগুলিকে প্রথম ও বকাটে বাৰু ছেলেগুলিকে দ্বিতীয় বিভাগে লওয়া হয়। ঐটা দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্র ; ছাত্রদিগকে শিক্ষকের সময়ে সময়ে উপহাসচ্ছলে বাৰু বলিয়৷ ডাকেন। সেই হইতেই ক্লাশের নাম বাবুজ ক্লাশ হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । আহা ! পিতা মাতা বালকগণের বিস্তাশিক্ষার্থে বিদ্যালয়ে দিয়া যথেষ্ট খরচপত্র করিতেছেন ; কিন্তু ছেলেরা যে অল্প বয়সে বাবু সাজিয়া অধঃপাতে যাইতেছে, তাহার সে বিষয়ের কি সন্ধান রাখেন না ? বরুণ। ঐ বাকুছেলেদের পিতা মাতার টাকার অসম্ভাব নাই। র্তাহার অর্থোপার্জন কিংবা জ্ঞানোপার্জন উদ্দেশ্রে বালকগণকে বিদ্যালয়ে পাঠান না । গাড়ী ঘোড়া রাখা, চিড়িয়াখানা করা যেমন বড় লোকের সক, ছেলে সাজাইয়। স্কুলে পাঠান, ইহাও একটি সকের মধ্যে। নচেৎ পিতা মাত৷ স্বহস্তে বালকগণকে বাৰু সাজাইয়া বিদ্যালয়ে পাঠাইবেন কেন ? তাহাদের অনেকে মনে করেন, কত তপস্ত করে নীলকান্তমণি কোলে পেয়েছি ; বাছ আমার লেখা পড়া শিখুক আর না শিখুক,নিৰ্ব্বোধ হয়ে বেঁচে থাকুক।