কলিকাতা శిశ్లే ইন্দ্র । ছিঃ ! ছিঃ ! তাহ হইলে সেই সমস্ত পিতা মাতা বড় নিৰ্ব্বোধের ভায় কাৰ্য্য করিতেছেন । তাহারা কি জানেন ন—লক্ষ্মী চিরদিন এক স্থানে থাকেন না, অতএব আজ যদি তিনি তাহাদিগকে ছেড়ে পালান-নিৰ্ব্বোধ নীলকান্তমণি নিয়ে কি ক’বৃবেন ? বিষয়ী হইলে বিদ্যাশিক্ষা বিষয়ে উপেক্ষ করিতে হইবে—এই বা কোন কথা ? সকলেই কি অর্থোপার্জন উদেণ্ডে বিস্তাশিক্ষা করিয়া থাকে ? বিদ্যাশিক্ষার উদ্দেশু জ্ঞানোপার্জন। অতএব পিতা মাতার উচিত, বালকের সে বিষয়ে কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছে, তষিয়ে তীক্ষ দৃষ্টি রাখা । বালকগণ যদি বাল্যকাল হইতে সংশিক্ষা ও সন্ধপদেশ প্রাপ্ত না হয়, পিতা মাতা সঞ্চয় করিয়া কুবের ভাণ্ডার রাথিয়৷ যুইলেও তাহারা দুই দিনে উড়াইয়া দিবে। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! আমাকে প্যারীচরণ সরকারের জীবনচরিত বল ? বরুণ। প্যারিচরণ সরকার ১৮২৩ খৃঃঅঙ্গের ২৩শে জানুয়ারি কলিকাতাস্থ চোরবাগানে জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁর পিতার নাম ভৈরবচন্দ্র সরকার ইনি প্রথমে হেয়ার স্কুল, পরে ছিন্দু স্কুলে বিদ্যাভ্যাস করেন। ইনি অত্যন্ত প্রতিভাশালী থাকায় প্রতিবৎসর পারিতোধিক পাইতেন এবং কয়েক বৎসর কলেজের একটা ছাত্রবৃত্তিও ভোগ করিয়াছিলেন। কলেজ পরিত্যাগ করিয়া প্রথমে হুগলীর ব্রাঞ্চ স্কুল, পরে বারাসত গবৰ্ণমেণ্ট স্কুলের প্রথম শিক্ষকের কাজ করেন তৎপরে হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রতিষ্ঠিত হন । ইহার পর প্রেসিডেন্সি কলেজের সাহিত্য-শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপকপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইনি “চোরবাগান প্রিপারেটারী স্কুল” নামক একটা মধ্যশ্রেণীর বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন । এতদ্ব্যতীত বহুসংখ্যক দুঃখী বালককে স্কুলের বেতন ও পুস্তকাদি দান করিতেন । ইনি নিজ পাড়ায় একটী বালিক-বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং বেঙ্গল টেম্পারেন্স নামক একটা সুরাপান-নিবারণী সভা করেন। এতদ্ব্যতীত হিতৈষী নামক পত্রিকার ও এডুকেশন গেজেটের সম্পাদকতা করিয়া
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।