কলিকাতা Woo S. দামের অমূল্যনিধি নামক পুস্তক ক্রয় করিলে একটি টাইমপিস পাইব । আটআনা দাম পাঠাইলাম—পুস্তক যাইল, টাইমপিসের কোঁটার মত একটি কোঁটাও যাইল। আহলাদে খুলিয়া দেখি, কোঁটার মধ্যে পাথরের কুচি পোরা। পত্র লেখায় উত্তর দিলে—পোষ্ট আফিসের ঐ কাজ করিয়াছে।” আর একজন কহিল, “আপনি ত যাহা হউক কিছু পেয়েছেন। আমি একবার একখানা পুস্তকের বিজ্ঞাপন দেখে আড়াই টাকা পাঠাই। সে আড়াই টাকা জলে গেল—তার উপরে আট দশ আনার পোষ্ট কার্ড খরচ ক’রে উত্তর চাহিলাম, তাহাও গেল । উত্তর পর্য্যন্ত দিলে না ।” এখান হইতে যাইয়া বরুণ কছিলেন, “পিতামহ । কলেজ স্কোয়ারের উত্তরাংশে ঐ যে একটি সুন্দর থামওয়ালা একতালা বাড়ী দেখিতেছেন, উহার নাম হিন্দুস্কুল। হিন্দুস্কুলের পূর্ব দিকে ঐ যে দোতালা সুন্দর বাড়ী দেখা যাইতেছে, উহার নাম সংস্কৃত কলেজ। ১৮২৫ খৃঃ অব্দের জানুয়ারী মাসে এই বাট নিৰ্ম্মিত হয়। পিতামহ সংস্কৃত কলেজ দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে বরুণ র্তাহ দিগকে লইয়। কলেজের মধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং কহিলেন “সুবিখ্যাত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পূৰ্ব্বে এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এই কলেজটা ১৮২৩ অব্দে স্থাপিত হয় ।” ব্ৰহ্মা । সুবিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে ? আমাকে বল । বরুণ। ইনি ১৭৪২ শকে অধুনা মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত বীরসিংহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁর পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় । ইনি পাচ বৎসর বয়ঃক্রম কালে পাঠশালায় লেখা পড়া শিক্ষা করিতে আরম্ভ করেন এবং আট বৎসর বয়ঃক্রম কালে কলিকাতায় আইসেন। ১৮২৯ অব্দে ইনি সংস্কৃত কলেজে ভৰ্ত্তি হন। কলেজের মধ্যে ইনি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন ; পিতার অবস্থা মন্দ থাকায় পাঠাবস্থায় ইহঁাকে অনেক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল। ১৮৩৬ অব্দে ইনি দারপরিগ্রহ করেন। ১৮৪১ অকে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।