কলিকাতা Vo D কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্ত নিযুক্ত হন এবং তৎপর বৎসর গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন। ইহার পর মহাভারতের উপক্রমণিকা বাঙ্গালা ভাষায় প্রচারিত হয় এবং ব্যাকরণ-কৌমুদীর চতুর্থ ভাগ ও সীতার বনবাস মুদ্রিত হয় । ১৮৬৩ অবে আখ্যানমঞ্জরী প্রচার করেন এবং ইহার দুই চারি বৎসর পরে উক্ত পুস্তকের দ্বিতীয় ভাগও প্রচারিত হয় । ১৮৬৮ অব্দে মেঘদূতের টীকা মুদ্রিত করেন। ইহার পর ভ্রান্তিবিলাস, টক সহিত উত্তরচরিত এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলা প্রকাশিত হয় । ১৮৭১ অব্দে ইনি কুলীন কস্তাদিগের দুঃখে দুঃখিত হইয়া বহুবিবাহ নামক গ্রন্থ প্রচার করেন। অনেকগুলি পণ্ডিত এই পুস্তকের বিপক্ষে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তক লেখায় ইনি র্তfহাদের মত খণ্ডনার্থ বহুবিবাহ গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগও প্রচার করিতে বাধ্য হন । ইনি নিজ গ্রামের উপকারার্থ তথায় একটি বিদ্যালয় ও দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । গ্রামস্থ অনাথদিগকেও মাসিক বৃত্তি দিয়া থাকেন। ইনি দরিদ্র বালকদিগকে স্বয়ং বেতন দিয়া বিদ্যাশিক্ষা করাইয়া থাকেন এবং তাহাদের মধ্যে কেহ পীড়িত হইলে স্বয়ং রাত্রি জাগরণ করিয়া সেবা শুশ্ৰুষা করেন । ইহার প্রধান কীৰ্ত্তির মধ্যে কলিকাতা মেট্ৰপলিটন বিদ্যালয়। ইহার দ্বারা দেশের যে কতদূর উপকার হইয়াছে, তাহ বলা যায় না। দেশে শিক্ষা বিস্তারে ইহঁার যত্ন অসাধারণ। গবর্ণমেণ্টও ইহার বিবিধ সদ্গুণের জন্তু ইহঁাকে যথেষ্ট সম্মান করিয়া থাকেন। ইহার সুন্দর পুস্তকালয়ে বিবিধ মূল্যবান গ্রন্থ সংগৃহীত আছে। ইন্দ্র। পরে বিদ্যাসাগরের পদে কে নিযুক্ত হন ? বরুণ । মহেশচন্দ্র দ্যায়রত্ন । তারানাথ তর্কবাচস্পতি এই কলেজে ব্যাকরণ শিক্ষা দিতেন, এবং ভরতচন্দ্র শিরোমণি এই কলেজে স্থতিশাস্ত্রের
- ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহঁর মৃত্যু হইয়াছে।—সম্পাদক।