Noeb” দেবগণের মর্ত্যে আগমন পাইতেন না । তাহার প্রকৃতি এমন গম্ভীর ছিল যে, বাড়ীর লোক পৰ্য্যন্ত সহসা তাহার সমীপে যাইতে সাহসী হইতেন না। র্তাহার প্রকৃতি রূঢ় বা কর্কশ ছিল মা ; এমন কি, তাহার বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্রদিগকেও কখন “তুই” বলিয়া সম্বোধন করিতে শুনা যায় নাই, অথচ কেহ সহসা তাহার সন্মুখীন হইতে সাহসী হইতেন না । তিনি যখন নির্জনে চিন্তা করিতেন, তখন র্তাহার মাতাও হঠাৎ গিয়া কোন কথা বলিতে সঙ্কুচিত হইতেন। বড় লোকের মা বড় হইয়া থাকে। বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের মাতা অতিশয় উদারহৃদয়া রমণী ছিলেন। বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের চরিত্রের আর একটা গুণ ছিল—ন্তায়পরতা। নিজে যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহ কড়ায় গণ্ডায় হিসাব করিয়া দিতেন। এবং অপরেও তাহাদের দেয় কড়ায় গণ্ডায় দেন এই ইচ্ছা করিতেন এবং সে বিষয়ে ক্রটা দেখিলে অত্যন্ত বিরক্ত হইতেন। যে সকল কৰ্ম্মচারী স্বীয় কৰ্ম্মে মনোযোগী, তিনি তাহদের প্রতি সন্তুষ্ট হইতেন, এবং যথাসাধ্য তাহাদের উন্নতি করিতেন ; কিন্তু যাহার কর্তব্য পালনে উদাসীন, তাহার অতি নিকট আত্মীয় হইলেও তাহাদিগকে ক্ষমা করিতেন না ও তাহাদিগকে দেখিতে পারিতেন না । কেহ অপরের প্রতি অন্যায় করিতেছে দেখিলে তিনি সহ করিতে পারিতেন না। অনেক সময় দুৰ্ব্বলের পক্ষ হইয়া অন্যায়কারীর দমন করিবার চেষ্টা করিতেন। একবার তাহার প্রতিবেশিনী একজন অনাথ বিধবা স্ত্রীলোকের কিছু জমী কাড়িয়া লইবার জন্ত একজন ধনী লোক চেষ্টা করেন। স্ত্রীলোকটর সহিত বিবাদ হওয়াতে তাহারা কয়েকজনে একদিন তাহাকে প্রহার ও অপমান করিবার জন্য তাহার ঘরে প্রবেশ করে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় পূৰ্ব্ব হইতেই তাহাদের আচরণের বিষয় শুনিয়া বিরক্ত হইয়াছিলেন। এক দিন তিনি নিজের ঘরে বসিয়া লিখিতেছেন, এমন সময় ঐ বিধবার পুত্রটা দুটা আসিয়া বলিল “বড় বাবু! : আমার মাকে কয়েক জনে ঘরে ঢুকিয় মারিতেছে।” বিদ্যাভূষণ মহাশয়
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।