"Gা ఆ6న শুনিবামাত্র নিজ কনিষ্ঠকে ডাকিয়া লইয়া ঐ বিধবার গৃহাভিমুখে ধাবিত হইলেন এবং সেখানে পৌঁছিয়া নিজ সহোদরকে ঐ দুবৃত্তদিগকে সমুচিত প্রহার করিতে অনুমতি দিলেন। তৎপরে বোধ হয় রাজদ্বারেও তাহদিগকে দণ্ডিত করিয়াছিলেন । এইরূপ অন্যায়কারীর প্রতি বিরাগ থাকাতে অনেক লোকের সঙ্গে তাহার শত্রুত হইত ; কিন্তু তিনি যাহাদিগকে শাস্তি দিতেন, তাহারাও তাহাকে শ্রদ্ধা করিত। র্তাহার হায়পরায়ণতার আর একটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতেছে। তিনি ব্রাহ্মণপণ্ডিতের বৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হইয়াছিলেন। ধনীদিগের নিকট ব্রাহ্মণপণ্ডিত যে বৃত্তি গান, তাহ লওয়া তাহার পক্ষে অন্যায় বলিয়া মনে করিতেন । এই জন্ত সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকদিগের নামে যে সকল বৃত্তি আসিত, তাহাতে র্তাহার যে অংশ থাকিত, তাহা তিনি লইতেন না । এরূপ শুনিয়াছি একবার বৰ্দ্ধমান রাজবাড়ী হইতে কিংবা অন্ত কোন মহাবিভবশালী ব্যক্তির বাড়ী হইতে অনেকগুলি মূল্যবান দ্রব্য ব্রাহ্মণপণ্ডিতের বৃত্তিরূপে তাহার নামে প্রেরিত হইয়াছিল। তাহার পরিবারস্থ সকলে সেই সমুদয় মূল্যবান বস্তু রাখিতে বিশেষ অনুরোধ করিলেন, কিন্তু তিনি কোনমতেই রাখিতে দিলেন না, প্রেরয়িতার মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া সেই সমুদয় দ্রব্য ফিরাইয়া দেওয়া হইল। মহারাণী স্বর্ণময়ীর ভূতপূৰ্ব্ব কাৰ্য্যাধ্যক্ষ স্বপ্রসিদ্ধ রাজীবলোচন রায় মহাশয়ের ইহঁার প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ছিল। তিনি অনেকবার অনেক প্রকারে বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে ব্রাহ্মণপণ্ডিতের বৃত্তি দিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু পারেন নাই । তিনি কোন বিপন্ন ব্যক্তির উপকারার্থ রাজাববাবুর নিকট পত্র দিলে তিনি তাহার যথেষ্ট সাহায্য করিতেন ; এবং যাহাকে পত্র দেওয়া অনাবগুক বোধ করিতেন, স্বয়ং যথাসাধ্য তাহাকে সাহায্য করিয়া বিদায় করিতেন। তাহার আর একটা গুণ ছিল—শ্রমশীলতা। রাজি ১১টা। ১২টা ৩৯
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।