কলেজট ১৮৩৫ অন্ধে সংস্থাপিত হইয়াছে। বাঙ্গালায় একটা মেডিকেল কলেজ ও চারিট মেডিকেল স্কুল আছে। ইন্দ্র। ভিতরে প্রবেশাধিকার আছে ? *আছে” বলিয়া জলাধিপতি র্তাহাদিগকে লইয়৷ ভিতরে প্রবেশ করিলেন এবং বাম পাশ্বের এক স্থানে যাইয়। পিতামহ দেখেন—যম সেই স্থানে উপস্থিত। তাহাকে দেখিয়া যম প্রণাম করিলেন। ব্ৰহ্মা ! যম! তুমি যে এখানে ? যম । আজ্ঞে, সম্মুথে দেখুন আমার মাল বোঝায়ের জন্য গুদামঘর । গুদামে বিস্তর মাল ঠাসা রহিয়াছে ; চালান দিলেই হয় । যখন কলিকাতায় আসিয়াছি, তখন গুদাম ঘরটা একবার দেখে না গেলে হয় ন। আমার বিস্তর কাজ, এক্ষণে প্রস্থান করি। কারণ সিয়ালদার গুদামে যেতে হবে । যম অদৃপ্ত হইলে পিতামহ চাহিয়া দেখেন, গৃহে বিস্তর রোগীর আমদানী হইয়াছে। রোগীর মধ্যে কোনটার শ্বাস হইয়াছে। কোন t গেঙ্গাইতেছে। বিস্তর নূতন নুতন রোগী রহিয়াছে, কাহারও পা ডাক্তারের করাত দিয়া কাটিতেছে, কাহারও হাইড্রোসিল কাটিবার জন্য ১০৷১৫ জন ডাক্তার রোগীটাকে চিৎ করিয়া শোয়াইয়া কি উপায়ে অস্ত্র বসাইবে তাহার মতলব করিতেছে । উপ। বরুণ-কাকী ! ওরা কি তরমুজ হাসাচ্চে ? নারা । ভাল বরুণ ! রোগীগুলোকে ষে অমন ক’রে কাটুচে, উহাদের কি যন্ত্রণ বোধ হ’চ্চে না ? বরুণ। কাটিবার অগ্রে ক্লোরোফরম করিয়া অচৈতন্ত করিয়া ফেলে, সুতরাং রোগীরা কোন কষ্ট অনুভব করিতে পারে না। ইন্দ্র । সার্থক অস্ত্রচিকিৎসা ! অত বড় জিনিসটা কাটুলে দেখ । বরুণ। দেখুন ঠাকুরদা ! এই স্থানের নাম ফিভার হাসপাতাল ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।