কলিকাতা , ৬২১, বরুণ। আজ্ঞে এই স্থানে মহিষের শৃঙ্গ প্রভৃতি দ্বারা চিরুণী প্রভৃতি। প্রস্তুত হওয়ায় স্থানটীর নাম হাড়কাটা গলি হুইয়াছে। উপ। বরুণ কাকা । এখান থেকে পলায়ে চল—আমার বড় ভয় করচে বরুণ। তোর ভয় করচে কেন ? উপ। ভাল ভাল লোকের মুখে শুনেছি এ রাস্ত দিয়ে লোক যাইলে দাত কেটে নেয় । এই সময় দেবগণ দেখেন—একটী বাড়ী হইতে একজন শিখাধারী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ পুত্রের সহিত বাহির হইলেন উহাদিগের হস্তে বস্ত্রে বাধা নানাপ্রকার দ্রব্যসামগ্রী । উভয়ে তখন পাণ চিবাইতেছে । বৃদ্ধ কহিল “দেখলে বাবা ! কেমন যজমান করেছি ? ইহারা বেথা বটে ; কিন্তু দিতে খুতে রাজা রাজড়ার অপেক্ষ ভাল মেয়ের বাপ কেমন দাতা দেখলি ? মাগী যা বল্পে তৎক্ষণাৎ তাই দিলে। ইহাকে পরিবার অপেক্ষাও ভাল বাসেন ও কথা শুনেন । বাবু বড় কম লোক নন, একজন উচ্চ বংশের বংশধর । বাড়াতে অদ্যাপি দোল-দুর্গোৎসব হয়। উহার দান খয়রাতও যথেষ্ট আছে। এবার পূজায় আমাকে বিদায় দিতে চেয়েছেন । তোমাকে এনে সকলের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিয়ে দিচ্চি, কি জানি কবে আছি কবে নাই। তুমি যদি এই সব যজমানের মন-যোগাইয়া চলিতে পার মুখে কাটাবে। কিন্তু সাবধান ! দেশে এ কথা প্রচার করে না, লোকে একঘরে করে আমাদের জাতি মারিবে । আমি এ বৎসর একা একশত ঘর যজমানের বাডী কালীপূজা করেছি। তোমাকে শেখাই— বস্তা বাড়ীর পুজায় প্রতিমার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে ঘেটাইতে নাই, শুদ্ধ নমঃ নমঃ করিয়া ফুল ফেলিয়া যত কাজ সারিতে পার ততই ভাল ।” উছারা চলিয়৷ যাইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! ঐ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কি বলিতেছেন ?” বরুণ । উহার কোন পল্লীগ্রামের ভাল ব্রাহ্মণ। . সংসার নির্বাহার্থ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।