ఉఫిల দেবগণের মর্ত্যে আগমন সহিত ২৪টে ভাড়াটে বেঙ্গাও সঙ্গে লইয়া যাওয়া হয় এবং সমস্ত রান্ত্রি মদ, মাংস, বেগু, পাণ, তামাক, তাস ও পাশা খেলার শ্ৰাদ্ধ হয়। নারা । বুড়ো বেটার মরবার বয়েস, কিন্তু রস ত মরে নাই ! ইন্দ্র । রস মরূবে নিমতলার ঘাটে গেলে । দেবগণ বাসার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন—পূৰ্ব্বপরিচিত সন্দেশক্রেতা বাবু একটা দোকানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া উত্তম উত্তম বস্ত্র বাছিয়া স্ত,পাকার করিয়া দর দস্তুর করিতেছেন। মুটে সদেশের হাড়ি কোলে করিয়া দোকান-ঘরের বারাণ্ডায় বসিয়া আছে। বস্ত্রের দর করা শেষ হইলে বাবু মুটেকে দেখাইয়া কহিলেন, “ঐ আমার চাকর বসিয়া রহিল, আমি একবার চটু করে বাড়ী থেকে দেখাইয়া আনি” বলিয়া প্রস্থান করিলেন । দেবতারাও বাসায় যাইয়া প্রবেশ করিলেন । হস্তপদ প্রক্ষালন করিয়া গল্প করিতেছেন, এমন সময়ে শুনিলেন দোকানঘরে ভয়ানক গোলমাল। র্তাহারা তৎশ্রবণে বাহিরে আসিয়া দেখেন, লোকে লোকারণ্য। যে ব্যক্তি বস্ত্র খরিদ করিতেছিল, সে জুয়াচোর। মুটেকে ভৃত্য বলিয়া বসাইয়া রাখিয়া যাওয়ায় দোকানীরা যাইতে দিয়াছিল. এক্ষণে লোকটা আর ফিরিল না দেখিয়া মুটেকে ধরিয়া টানাটানি করিতেছে, “তুই বেটা বল, তোর মনিবের বাড়ী কোথায় ?” মুটে অবাকৃ হইয়া কহিতেছে, “সে বেটা আমার সাতপুরুষের মনিব নয়। আমি মুটে ; মুটেগিরি করে দিন কাটাই ; আমাকে চারি আন দিয়ে ভবানীপুরে পাঠাবে চুক্তি করে ডেকে আনাতেই সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছিলাম, তার পর তোমাদের দোকানের মধ্যে গিয়া কি ব’লে কাপড় নিয়ে গেল—সে জানে আর তোমরা জান, আমি কি জানি।” দোকানী কহিল, “শালা জুয়াচোর প্রবঞ্চনা করে প্রায় ৫০/৬০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। নে, মুটে বেটার নিকট হইতে সন্দেশের হাড়িটে কেড়ে নে ; শালা ত সৰ্ব্বনাশ ক’রেছেই, তবু মিষ্টিমুখ করা যাবে।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।