কলিঙ্কাত৷ అశ్చిమో ক্ষতি সন্থক অথচ শ্রুতিমধুর ও ভক্তিরসাত্মক । ইনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রিয়পাত্র চইল্লা এক সময় তাহার সহিত মুরশিদাবাদে যাইতেছিলেন । স্নখন তিনি ভাগীরথী-বক্ষে নৌকোপরি কালীনাম কীৰ্ত্তন করিতেছিলেন, ঘটনাক্রমে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা সেই সঙ্গীত শ্রবণে বিমুগ্ধ হইয়া তাঙ্গকে ডাকিয়? গান করিতে আদেশ করেন । রামপ্রসাদ নবাবের প্রিয় হইবার ইচ্ছায় ছিন্দিতে মুসলমান ধৰ্ম্মের গান করিতেছিলেন ; কিন্তু নবাব তাহাতে অসন্তুষ্ট হুইয়া কছেন, “ন’ না –সেই কালী কালী গান কর।” রামপ্রসাদ তৎশ্রৰণে কালীবিষয়ক গান করিলে নবাবের পাষাণ-হৃদয়ও দ্রবীভূত ও বিমুগ্ধ হইয়াছিল । ইহঁর কোন রোগে মৃত্যু হয় নাই, ভাবে মৃত্যু হইয়াছিল । মৃত্যুর দিন এক গলা গঙ্গাজলে দাড়াইয়া কয়েকট শক্তিবিষয়ক গান করেন, সই স্তলেষ্ট তাহার প্রাণ-বিয়োগ হয় । ব্ৰহ্মা । আহা! রামপ্রসাদ সাধু লোক ছিলেন। নারা । উপ বেটা কত বাঙ্গালা পুস্তক জুটায়েছে দেখ! বরুণ, একখানা পাঠ কর শোনার্যাক্ । বরুণ তৎপ্রবণে বাসবদত্ত লষ্টয়া পাঠ করিতে লাগিলেন। দেবগণ অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত গুনিয়া কহিলেন, “এ লোকট। একজন সুকবি বটে, ইহার জীবনবৃত্তাস্ত বল ।” বরুণ। এই কবির নাম wমদনমোহন তর্কালঙ্কার। ইনি ১২২২ সালে নদীয়া জেলার অন্তর্গত বিম্বপুষ্করিণী নামক গ্রামে ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁর পিতার নাম রামধন চট্টোপাধ্যায় । মদনমোহন সংস্কৃত কলেজে বিদ্যা শিক্ষা করেন । ইনি এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় এক শ্রেণীতে পাঠ করিতেন এবং উভয়েই কলেজের মধ্যে উৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন। পাঠ্যাবস্থায় ইনি সংস্কৃত রসতরঙ্গিণী নামক গ্রন্থের বাঙ্গালা অনুবাদ করেন এবং বাসবদত্ত গ্ৰন্থখানি পন্তে রচনা করিয়াছিলেন। ১২৫০ সালে ইনি পাঠ সমাপ্ত করিয়া কলিকাতার একটা বাঙ্গালী বিদ্যালয়ে ১৫ টাকা বেতনে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।