ులిత দেবগণের মর্তে আগমন । পণ্ডিত নিযুক্ত হন। ইহার পর ২৫ টাকা বেতনে বারাসতের স্কুলের প্রধান পণ্ডিতের পদ পান। তথায় এক বৎসর মাত্র থাকিয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে ৪০ টাকা বেতনে অধ্যাপকের পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ইহার পর ইনি ৫০ টাকা বেতনে কৃষ্ণনগর কলেজের প্রধান পণ্ডিত হইয়াছিলেন। তথায় এক বৎসর মাত্র কাজ করিয়া সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যশাস্ত্ৰাধ্যাপকের পদে ৯০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। ১২৫৭ সালে মদনমোহন শিশুশিক্ষা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ভাগ রচনা করেন। ইহার কয়েক বৎসর পরে ইনি মুরশিদাবাদের জজ পণ্ডিতের পদ প্রাপ্ত হন। ঐ পদের বেতন ১৫০ টাকা। ছয় বৎসর কাল জজ পণ্ডিতের কাজ করিয়া ঐ স্থানের ডেপুটী মাজিষ্ট্রেট হইয়াছিলেন ; এই সময়ে ইনি মুরশিদাবাদের হিতের জন্ত মধ্যে মধ্যে সভা করিয়া বক্তৃতা করিতেন এবং বিধবা ও অনার্থ বালকদিগের সাহায্যার্থে একটা দাতব্য সভা সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন ঐ স্থানে একটী অতিথিশালাও স্থাপন করেন। ১৮৬৫ সালে ১৫ আইন পাশ হয়। এই আইনের সার মৰ্ম্ম বিধবাবিবাহজাত পুত্ৰগণ পৈতৃক বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইবে। এই আইন প্রচলিত হইলে মদনমোহন ঘটক হইয়া শ্ৰীশচন্দ্র বিদ্যারত্বের সহিত এক বিধবার বিবাহ দিয়া ফেলেন । এই দোষের জন্ত তর্কালঙ্কারকে দেশে প্রায় ৮৯ বৎসর পর্য্যন্ত সমাজচ্যুত হইয়া থাকিতে হইয়াছিল । ইহার পর ইনি কান্দি সবডিবিসনের ভার প্রাপ্ত হন। ইনি কান্দির অনেক উন্নতি করিয়াছিলেন । তথায় ইহঁার যত্নে একটা বালিক-বিদ্যালয়, একটা অতিথিশালা, চিকিৎসালয় এবং রাজপথ প্রভৃতি নির্মিত হয়। এ স্থানেই ১২৬৪ সালে ইহঁার বিস্তুচিকা রোগে প্রাণত্যাগ হইয়াছিল । দেবগণ যখন কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সম্বন্ধে কথোপকথন করিতেছিলেন, সেই সময়ে উপ সমবয়স্কদিগের বাস হইতে কতকগুলো বাঙ্গালা ও ইংরাজী সংবাদপত্র বগলে করিয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। নারায়ণ তাহার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।